Kamduni Verdict:কামদুনি-কাণ্ডে হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য, জানাল সিআইডি
Supreme Court:কামদুনি-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কামদুনি-কাণ্ডে (Kamduni Case Verdict) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায় চ্যালেঞ্জ করছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে, জানাল সিআইডি।
বিশদে...
সূত্রের খবর, পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন সিআইডি, বিধাননগর পুলিশের অফিসাররা। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাইকোর্টের রায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট দোষীদের যে সাজা শুনিয়েছে, তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কামদুনির মানুষ। ফাঁসির সাজা রদ হয়েছে। শাস্তির মেয়াদ কমায় মুক্তি পেয়েছে তিনজন, বেকসুর খালাস একজন। এই রায়ের হতাশার সুর স্পষ্ট মৃতার পরিবারের কথায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনেকগুলি। কেন স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ন্যায়বিচারের আশ্বাস পাওয়া সত্ত্বেও এই পরিণাম হল? নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মামলায় গুরুত্ব দেয়নি CID। বারবার সরকারি আইনজীবী পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হাইকোর্টে যে বহাল রইল না, তার দায় কি CID ও সরকারি আইনজীবীরও নয়? প্রশ্ন উঠছেই। সমালোচনার মধ্যে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে তারা। তার আগেই অবশ্য কামদুনির বাসিন্দারা জানিয়ে রেখেছিলেন, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
কী ঘটেছিল?
২০১৩ সালের ৭ জুন দিনটার কথা আজও স্পষ্ট মনে আছে কামদুনির মানুষদের। সে দিন, সেখানকারই বাসিন্দা, এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে ৯ জনের নাম জড়ায়।মামলা চলাকালীন ১ অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল। নিম্ন আদালতে ২ জন বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। বাকি ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সাজা কমানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৬ অভিযুক্ত। আজ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে ফাঁসির বদলে দোষী সাব্যস্ত আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বাকি ৩ জন, যারা যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিল, তাদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ওই ৩ জনের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুর ইসলাম মুক্তি পাওযায়র কথা। এই রায়ের পরই কামদুনির প্রতিবাদের সঙ্গে জড়িত অন্যতম মৌসুমি কয়াল কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর অভিযোগ, 'সরকারের উকিল বিক্রি হয়ে গিয়েছে...মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ন্যায়বিচার দিতে পারলেন না।' তবে ফের প্রতিবাদ যে হবে, সেটা বার্তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন কামদুনির মানুষ।
আরও পড়ুন:পুজোর মুখে সুখবর শোনাল কলকাতা মেট্রো, ভোররাত পর্যন্ত চালু থাকবে পরিষেবা, কবে কতক্ষণ ?