Supreme Court: ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিল করে সেই জায়গায় নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) চাকরি বাতিল করে সেই জায়গায় নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি দুর্নীতির মামলা আপাতত বিচারাধীন। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সেইসময় ন্য়াশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের বিধিতে বলা ছিল নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারপরও যদি শূন্য়স্থান থাকে, তাহলে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। তবে সেই প্রশিক্ষণহীনদের ২ বছরের মধ্য়ে প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে। কিন্তু নিয়োগের পর থেকেই অভিযোগ ওঠে, অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই চাকরি পাননি। তার বদলে নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছেন বহু প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়মভঙ্গ, দুর্নীতির পাশাপাশি, প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্য়াপ্টিটিউড টেস্ট অবধি হয়নি বলেও মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। শেষমেশ ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তারপরই সামনে আসে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য়। ইন্টারভিউয়ারদের বয়ানে দেখা যায় কেউ জানান, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি। কেউ বলেছেন, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে গত মে মাসে একলপ্তে প্রাথমিকের ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে একাদশ-দ্বাদশের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশমের ওএমআর প্রকাশিত হয়েছে আগেই। ২০১৬-র এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ৫,৫০০-জন সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ চেয়ে মামলা করেন ববিতা সরকার। তাঁর দাবি, ২০১৬-র একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৯০৭টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্ট বা প্রতীক্ষিত তালিকায় । 'একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কী ভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা স্পষ্ট হবে'। ববিতা সরকারের আবেদনে উল্লেখ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Vastu Shastra: বাড়িতে ক্যাকটাস কিংবা ভাঙা তালা রেখেছেন? দুর্ভাগ্য ডেকে আনছেন না তো?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI