Supreme Court: গ্রুপ সি এবং নবম দশমের শূন্যপদ পূরণের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের
এক সপ্তাহের জন্য এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। নির্দেশ বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গ্রুপ সি (Group C) এবং নবম দশমের শূন্যপদ পূরণের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এক সপ্তাহের জন্য এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। নির্দেশ বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চের।
অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি: সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করেন। এর মধ্যে ৫৭ জনের কাছে SSC-র কোনও সুপারিশ পত্র নেই। রয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ পত্র রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সরাসারি চাকরি বাতিল করে হাইকোর্ট। বাকি ৭৮৫ জনের কাছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ পত্র আছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন যথাক্রমে সুপারিশ পত্র এবং নিয়োগ পত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন SSC-র আইনের ১৭ নং ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। বিচারপতির নির্দেশ মোতাবেক নবম দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র ও নিয়োগ পত্র প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট । দুপক্ষই দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া নির্দেশে জানিয়েছেন এই শূন্যপদে যে নিয়োগ হবে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা! চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৫ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁদের অভিযোগ,২০১৮ থেকে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীকে সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন জুনপুটের বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানা। অভিযোগকারীদের দাবি, শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং অন্য়ান্য় সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত। এর মধ্য়ে অনেকেরই চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ।এই নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হলেও, কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি। শেষমেষ হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: এবার বলতে হবে, নো ভোট টু মমতা: শুভেন্দু অধিকারী