Suvendu Adhikari: শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: '১ মাসের জন্য শিবপুর-রিষড়া থানাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ছাড়ার দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।' বললেন বিরোধী দলনেতা।
কলকাতা: শিবপুর-রিষড়া থানায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি। ১ মাসের জন্য শিবপুর-রিষড়া থানাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ছাড়ার দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।
কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্যের কাছে রিপোর্ট নয়, কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। রাষ্ট্রবাদীদের বাঁচাতে কিছু করে দেখান রাজ্যপাল, তাহলেই বোঝা যাবে।'গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তুলনা টেনে আনন্দ বোসকে আক্রমণ।'এখনও পর্যন্ত রাজ্যপালের কাছ থেকে পূর্বসুরীদের ভূমিকা দেখতে পাইনি। রাজ্যের রিপোর্ট না চেয়ে, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রের পদক্ষেপ চান।'শিবপুর-রিষড়া থানার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তোলার সুপারিশ করুন।'তাহলেই বুঝব, শুধু বিবৃতি নয়, কিছু করে দেখাতে চাইছেন সিভি আনন্দ বোস।'রিষড়া থেকে রাজ্যপাল ফিরতে চড়া সুরে আক্রমণে বিরোধী দলনেতা।
দফায় দফায় অশান্ত রিষড়া, ঘটনাস্থলে গিয়ে হিংসা বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। ‘জিও ওউর জিনে দো,’ অশান্ত রিষড়ায় গিয়ে কড়া বার্তা রাজ্যপালের। দার্জিলিং সফরে কাঁটছাট করে এদিন রিষড়ায় যান সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এখানে এসেছি। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা শান্তিভঙ্গ করেছে, তাদের বরদাস্ত নয়। শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হবে। বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এবার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার, রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষ সবাই মিলে গণতন্ত্রের ভূমি থেকে এই ভিড়তন্ত্রকে উপড়ে ফেলতে হবে। সবাইকে একজোট হয়ে এই নৈরাজ্যকে উৎখাত করতে হবে। ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত রোখার চেষ্টা করছে। একই ভাবে আত্মনির্ভর বাংলাও অশুভ শক্তির বিনাশ করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই, অপরাধীরা গরাদের পিছনে যাবে' রিষড়ায় পৌঁছে বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিকে রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি, রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন অমিত শাহ। মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই রিপোর্ট তলব। ৩ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: তদন্ত শেষ করতে চার বছর লাগল কেন? দাড়িভিটকাণ্ডে আদালতের প্রশ্নের মুখে CID