Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাইয়ে মমতা, সমীকরণে নজর বিজেপি-র! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর
Mamata Banerjee: জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন বার বার তাঁর সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে রাজ্যের। ধনকড় এখন বাংলার বাইরে, দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি। তাঁর জায়গায় রাজ্যপাল হয়েছেন লা গণেশন।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: রাজ্যপালের ( La. Ganesan) আমন্ত্রণে চেন্নাই উড়ে গিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে এমকে স্ট্যালিনের (MK Stalin) সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই আবহেই মমতার চেন্নাই (Mamata in Chennai) সফর নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, "কে কোথায় যাচ্ছেন, সবটাই নজরে রাখছি।" এ নিয়ে তাঁকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সমীকরণে নজর বিজেপি-র!
জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন বার বার তাঁর সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে রাজ্যের। ধনকড় এখন বাংলার বাইরে, দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি। তাঁর জায়গায় রাজ্যপাল হয়েছেন লা গণেশন। তবে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের সম্পর্ক মসৃণই। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোতে যান রাজ্যপাল। আর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁর দাদার ৮০ বছর পূর্তিতে বিশেষ অনুষ্ঠানে চেন্নাইয়ে তাঁর বাড়িতে যান মমতা।
গণেশন এবং মমতার মধ্যেকার এই সমীকরণ রাজ্য বিজেপি ভাল চোখে দেখছে না বলে খবর। এমনকি রাজ্যপালের সঙ্গে শুভেন্দু দেখা করতে চান বলেও শোনা যাচ্ছে। সেই নিয়ে ইতিমধ্যে আবেদনও জানিয়ে রাজভবনে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সেই আবহেই শুক্রবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "কে কোথায় যাচ্ছেন, সবটাই নজরে রাখছি। জন্মদিনে যান, আর পুজো পালন করুন। বেআইনি কাজ, সংবিধানের বাইরে কাজ করতে পারবেন না। আমরা সব কাজে বাধা দিই না। সংবিধান মেনে, আইন মেনে, যে বিল করবেন, পাস করাবেন, সেট আপনি করুন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন চ্যান্সেলর হতে পারবেন না।"
এ দিন শুভেন্দু আরও বলেন, "ED-র বিরুদ্ধে রেজলিউশন আপনি অ্যাসেম্বলিতে নিতে পারেন না। আপনি এইভাবে সিকিউরিটি কমিশনও বানাতে পারেন না। আপনি যা খুশি করলে তো পশ্চিমবঙ্গে হবে না।" তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জাবনিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, "নজর রাখছি বলছে, স্পেগাসাসের মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে নজর রাখছেন।"
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সংবিধানে দু’জনের সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে। কিন্তু, বর্তমান রাজনীতিতে বারবার এ রাজ্য সহ বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। বিজেপি-র অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যপালরা কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
ধনকড়ের মতো সংঘাত নয়, গণেশনের সঙ্গে এখনও রাজ্যের সম্পর্ক ভালই
আবার তীব্র সংঘাতের পর, রাজ্যপালের পদ ছেড়ে যখন ধনকড় উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নেমেছেন, মমতা তাঁর বিরোধিতা করেননি! আবার গণেশনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ধনকড়ের মতো তিক্তও হয়নি এখনও। তাতেই বিজেপি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে খবর। এ রাজ্যে আগামী দিনে নবান্ন-রাজভবন সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, সেদিকে সবার নজর থাকছে।