Swasthya Bhawan: পাভলভে চরমে দুর্নীতি, শহরে বাকি মানসিক হাসপাতালগুলির অবস্থা জানতে চাইল স্বাস্থ্য দফতর
Swasthya Bhawan: পাভলভকে কেন্দ্র করে বর্তমান বিতর্কের আবহে এবার মানসিক চিকিত্সার হাসপাতাল বা চিকিত্সা কেন্দ্রগুলির অবস্থা জানতে চাইল স্বাস্থ্য দফতর।
সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের (Swasthya Bhawan) কর্তাদের পরিদর্শনের পর নয়, পাভলভের (Calcutta Pavlov Hospital) বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রায় এক বছর আগেই রিপোর্ট দিয়েছিল তপসিয়া থানার পুলিশ (Tapsia Police Station)। একটি মামলার তদন্তের সূত্রে দেওয়া রিপোর্টে, হাসপাতালের বেহাল অবস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তার অভাব ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথাও বলা হয়েছিল। অভিযোগ, তাও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজ্যের (West Bengal) প্রথম সারির মানসিক হাসপাতাল পাভলভের বিরুদ্ধে পরিষেবায় ঘাটতি, আর্থিক দুর্নীতির মতো অভিযোগ আগেই উঠেছিল! যা নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এবারই প্রথম নয়। গত বছরের জুলাই মাসে, একটি তদন্তের সূত্রে, পুলিশের তরফেও পাভলভের সুপারের কাছে বেহাল অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি!
সূত্রের খবর, ২০২১ সালে, পাভলভ থেকে ১৫ বছরের এক বিচারাধীন বন্দির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তদন্তে নামে তপসিয়া থানা। সেই ঘটনায় পুলিশের তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয় পাভলভ হাসপাতালের সুপারের কাছে। রিপোর্টে বলা হয়, পাভলভ হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
লোহার ফেন্সিং ভাঙা, পাঁচিলও ভাঙা। এখনও পর্যন্ত ১৭ জন রোগী পাভলভ থেকে পালিয়েছে। পূর্ত দফতরকে বারবার মেরামতির কথা বলা হলেও, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মহিলা আবাসিকদের যখন মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তাঁদের মধ্যে কে বিচারাধীন বন্দি, তা খুঁজে বের করা মুশকিল হয়ে পড়ে।
পাভলভে ডিউটি করতে পুলিশ কর্মীদেরও যে অসুবিধায় পড়তে হয়, সেকথাও বলা হয়েছিল রিপোর্টে। দাবি করা হয়, ওয়ার্ডে ঢোকার মুখে, রোগীদের যেখানে রাখা হয়, সেই জায়গা অস্বাস্থ্যকর। দুর্গন্ধে ভরা। সেই জায়গায় ডিউটি করাও অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
পাভলভকে কেন্দ্র করে বর্তমান বিতর্কের আবহে এবার মানসিক চিকিত্সার হাসপাতাল বা চিকিত্সা কেন্দ্রগুলির অবস্থা জানতে চাইল স্বাস্থ্য দফতর। কোনও হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধীনে কতগুলি বেড আছে? তার মধ্যে কতগুলি বেডে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে, কতজন সাইকিয়াট্রিস্ট, প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মেডিকেল অফিসার রয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের দ্রুত এই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।