Titagarh Child Death: লড়াই শেষ, টিটাগড় বিস্ফোরণে জখম শিশুর মৃত্যু
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের (Titagarh) পুরানি বাজার এলাকায়, বল ভেবে রাস্তার ধার থেকে একটি গোলাকার জিনিস কুড়োয় চার বছরের মহম্মদ রেহাদ।
সমীরণ পাল, রণজিৎ সাউ, টিটাগড়: টিটাগড়ে (Titagarh) বোমা ফেটে জখম শিশুর মৃত্যু হল। পুরভোটের (Municipality) মুখে বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু ঘিরে তীব্র হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, বিরোধীরা অশান্ত করতে চাইছে টিটাগড়। পাল্টা জবাব এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। ২ দিন লড়াইয়ের পর সব শেষ। মৃত্যু হল টিটাগড়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম শিশুর।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ের (Titagarh) পুরানি বাজার এলাকায়, বল ভেবে রাস্তার ধার থেকে একটি গোলাকার জিনিস কুড়োয় চার বছরের মহম্মদ রেহাদ। সেটিকে মাটিতে ছুড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। ছিটকে পড়ে একরত্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতাল ও পরে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
পুরভোটের (Municipality Corporation) মুখে বিস্ফোরণে শিশুমৃত্যুর ঘটনায়, বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর কথায়, বিরোধীরা ক্রিমিনাল পোষে, যারা ক্রিমিনালদের এগিয়ে দেয়। ভোটের সময় বোম তৈর করতে গিয়ে একটা ছেলের জীবন চলে গেছে। যারাই করুক না শাস্তি হবে।
আবিষ্কার ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সদস্য প্রশাসন নিজের কাজ মন দিয়ে করলে, বোমাগুলি জমা হত না, আগ্নেয়াস্ত্র আসত না। বিরোধীদের দোষ দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকা যায় না। সপ্তাহ দুয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে গঙ্গাপারে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক যুবকের।
এবার টিটাগড়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গেল শিশুর।
গতকাল খেলার সময়ে ইটভাটার জলের চৌবাচ্চায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই শিশুর। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে পুরাতন মালদায় (Malda) শ্রমিকের কাজে এসেছিল ওই দুই শিশুর বাবা করণ তাঁতি ও মা কিরণদেবী। বিহারের (Bihar) ভাগলপুরে (Bhagalpur) বাড়ি তাঁদের।
২ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দম্পতি মাস তিনেক আগে পুরাতন মালদার (Malda) নলডুবি এলাকায় ইটভাটার শ্রমিকের কাজে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ওই দম্পতি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধে হয়ে গেলেও ছেলেদের না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাবা, মা।
বেশ কিছুক্ষণ পরে চৌবাচ্চার মধ্যে থেকে ২ সন্তানকে খুঁজে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপতালে (Malda Medical College And Hospital) নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ২ সন্তানের নাম ঋত্মিক তাঁতি (৬) ও রোশন তাঁতি (৫)। পরে তাদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলেদের হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবার।