Abhishek Banerjee: ‘২৬-এ ২৪০ আসন নিয়ে ফিরবে তৃণমূল, লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক
West Bengal Assembly Elections 2026: 'জনসংযোগ যাত্রা'য় বেরিয়ে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বক্তৃতা করেন অভিষেক। সেখানেই ২০২৬-এর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে শোনা যায় তাঁকে।
চোপড়া: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু, কয়লা পাচারের অভিযোগে জেরবার দল। একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে দুর্নীতিতে। সেই আবহে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে (Panchayat Elections 2023) বিরোধীরা লাগাতার বিঁধে চলেছেন তৃণমূলকে (TMC)। তার পরেও আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়ল দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলায়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন তো বটেই, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও (West Bengal Assembly Elections 2026) বাংলায় আসন বাড়িতে তৃণূল ফিরবেন বলে ঘোষণা করলেন তিনি।
২০২৬-এর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে শোনা গেল অভিষেককে
'জনসংযোগ যাত্রা'য় বেরিয়ে রবিবার উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur News) চোপড়ায় বক্তৃতা করেন অভিষেক। সেখানেই ২০২৬-এর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে শোনা যায় তাঁকে। এ দিন অভিষেক বলেন, "ইডি-সিবিআই দিয়ে ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না। অন্য দল ভয় পেতে পারে। তৃণমূল এসবকে ভয় পায় না। আমাকেও নোটিস পাঠিয়েছে। যত নোটিস আসবে, আন্দোলনের ভাষা তীব্র হবে ততই। ধমকে চমকে তৃণমূলকে আটকাতে পারবেন না। ২০১১ সালে ১৮৪ আসন ছিল, ২০১৬ সালে ২১১, আর ২০২১ সালে ২১৪। ২০১৬ সালে তৃণমূলের আসনসংখ্যা ২৪০ হবে। যত ধমকাবেন চমকাবেন, ততই শক্তিশালী হবে তৃণমূল।"
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকেও এ দিন নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, "আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী দিন দিল্লিতে যাব। মানুষের অধিকারের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে আনব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দিল্লিতে ধর্নায় বসব। দিল্লির বুক থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনব। কারও ক্ষমতা নেই আটকে রাখার।"
আরও পড়ুন: Sukanya Mondal: রাখা হবে মহিলা কুঠুরিতে, বই নিয়ে যেতে চাইলেন সুকন্যা, তিহাড়ে ঠাঁই অনুব্রত-কন্যারও
এই নিয়ে যদিও অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বঙ্গ বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "জোয়োর তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না! আশা কির ব্যালট বাক্স সুরক্ষিত রয়েছে। যে রাজনৈতিক দল অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জন্য, মানুষের করের টাকায় বেতন পাওয়া পুলিশকে ব্যবহার করে, নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া করে, তারা কী লড়াই করবে? আন্দোলনের কথা এই প্রজন্মের তৃণমূল যত কম বলে, ততই ভাল। আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ অস্বীকার করছে না। এই পরিবর্তনের তিনিি ছিলেন আইকন। তিনি ছিলেন নিয়ামক শক্তি। তাঁকে কেন্দ্র করেই ৩৪ বছরে অপশাসন শেষ হয়। মানুষ চেয়েছিলেন, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার। কিন্তু ক্ষমতায় এসে আজ মানুষের কণ্ঠস্বরই রোধ করে দিয়েছে। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তৃণমূল।"
অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শমীক
অভিষেক ইডি-সিবিআই নিয়ে সরব হলেও, দুর্নীতির দায় সরাসরি তৃণমূলের উপরই চাপিয়েছেন শমীক। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা থাকলে আদালতে যেতে পারে তৃণমূল। মানুষ বুঝে গিয়েছেন, তাঁদের টাকা নয়ছয় হয়েছে। তৃণমূলের সীমাহীন লোভ, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই তাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে বলে দাবি করেছেন শমীক।