(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee Poems: ‘বিচারপতি আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’, ‘এপাং-ওপাং-ঝপাং’ কটাক্ষের পাল্টা তৃণমূল
Justice Abhijit Ganguly: বুধবার খিদিরপুরে মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে যে মন্তব্য করেন তিনি, তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কলকাতা: সরাসরি মুখে নাম নেননি যদিও। তবে মমতার লেখা এপাং-ওপাং-ঝপাং কবিতাকে 'অখাদ্য' বলে উল্লেখ করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এমন মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর তাতে বিচারপতিকে আদ্য়োপান্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করল তৃণমূল। বিচারপতির আসনে আসীন থেকেও তাঁর এমন মন্তব্য দেশের জন্য় বিপজ্জনক বলে মত তৃণমূলের (Mamata Banerjee Poems)।
বিচারপতিকে আদ্য়োপান্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করল তৃণমূল
বুধবার খিদিরপুরে মাইকেল মধুসূদন লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে কয়েক বছর আগে একটি গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর তাতেই যে মন্তব্য করেন তিনি, তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। বিচারপতিকে 'রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব' বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিন শান্তনু বলেন, "কোর্টের এজলাসে বসে বলেননি। সুতরাং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোাপাধ্যায়ের বক্তব্য হিসেবে না ধরে, তাঁর এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত মন্তব্য হিসেবে ধরছি আমি। তাই সচেতন নাগরিক হিসেবে এর কট্টর প্রতিবাদ এবং সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে আমার। এটাই প্রমাণ করে দিল যে, বিচারপতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সব কাজ করেনন।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Poems: দেশে-বিদেশে ছড়াছড়ি 'আজব ছড়া'র, কেন বার বার নিশানায় মমতা-ই
শান্তনু আরও বলেন, "আদালতের এজলাসে বসে তৃণমূলের মুখপাত্রকে দালাল মুখপাত্র বলতেন, ঢাক পিটিয়ে তৃণমূলকে বিসর্জন দেওয়ার কথা বলতেন, তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার কথা বলতেন, তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই তৃণমূল নেতাদের নাম নিয়ে সামাজিক ভাবে তাঁদের কালিমালিপ্ত করতেন। ব্য়ক্তিগত অনুষ্ঠানে আজ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের প্রতি, তাঁর শৈল্পিক সত্ত্বার প্রতি বিচারপতির এই বিষোদ্গার প্রমাণ করে দিল যে, তিনি আপাদমস্তক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর কাজই হল, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করা।"
বিচারপতির এমন আচরণ বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেন শান্তনু
বিচারপতির পদে আসীন থেকে বিচারপতির এমন আচরণ বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেন শান্তনু। তাঁর কথায়, "বিচারপতি দেশের বিচারব্যবস্থার ধারক ও বাহক। যখন বিচারালয়ে বসেন, তাঁর মুখে এমন মন্তব্য শুনলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের সন্দেহ তৈরি হয় বইকি, যা দেশের এবং ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।"