Saugata Roy : 'মেয়েরা একা একা বেরোবে কেন ১২টার পরে, হঠাৎ বেরনোর কারণ কী ?' দুর্গাপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য সৌগতর
Durgapur Incident : এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে চলে যেতে চান দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবা।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : দুর্গাপুরের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। মেয়ের সরকারি সুরক্ষা না থাকার কথা বলে তাঁকে ওড়িশা নিয়ে চলে যেতে চাইছেন নির্যাতিতার বাবা। এই আবহে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মন্তব্য করলেন, "মেয়েরা একা একা বেরোবে কেন ১২ টার পরে ? মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। হঠাৎ বেরনোর কারণ কী ?"
তৃণমূল সাংসদ বলেন, "কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের বেরনোর ব্যাপারে অবশ্যই বিধি-নিষেধ থাকা উচিত। কেউ ডাক্তারি পড়ছে, সে রাত ১২টার সময় বেরোবে তার ক্যাম্পাস থেকে, সেটা কাম্য নয়। সুতরাং সবটাই পরিস্থিতি-পরিবেশের উপর নির্ভর করবে। আমাদের দেশে এখনও মেয়েরা সব জায়গায় খোলাখুলি গভীর রাতে বেরোতে পারবে এটা পরিবেশ হয়নি। মেয়েরা একা একা বেরোবে কেন ১২টার পরে ? মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। হঠাৎ বেরনোর কারণ কী ?" তাঁর সংযোজন, "একটা ফাঁকা মাঠের মধ্যে মেয়েরা যদি রাত ১২টায় বেরোয়, সেটা বিপজ্জনক। তার কারণ, সমাজে খারাপ লোক সবসময় থাকে। পুলিশ কি প্রত্যেক স্কোয়ার-ইঞ্চিতে পাহারা দেবে ? তা তো নয়।"
সৌগত রায় আরও বলেন, "রাতে কাজ একমাত্র আইটি ইন্ডাস্ট্রির মেয়েরা বহু রাতে করেন। আর কোথাও হয় না। এখনও আমাদের দেশ...আপনি যদি দেখেন, ফ্যাক্টরি অ্যাক্টে যে আইন আছে...তাতে মেয়েদের কাজের ওপর রেস্ট্রিকশন আছে। শুধু আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে এর রিল্যাক্সেশন হয়েছে। সেটাই থাকা উচিত। কাজ ছাড়া বেরোবে সেটা কাম্য নয়। সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি সব জায়গায় নেই। কোনও জায়গায় নেই।"
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে চলে যেতে চান দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবা। শুধু তা নয়, তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার তুলনা টানেন। নির্যাতিতার বাবার কথায়, "আমি বাড়ি নিয়ে চলে যাব। এখানে রাখব না। এখানে সুরক্ষিত নয়। আমার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব। ওড়িশার জলেশ্বরে। মেয়েকে স্বপ্ন নিয়ে পাঠিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে ডাক্তার হবে। রোগীর সেবা করবে। বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন তো ওর ধূলিস্মাৎ হয়ে গেল। আমি ওইজন্য নিয়ে যাব। এখানে সুরক্ষিত নয় মেয়ে আমার। এখানে সরকারি সুরক্ষা নেই। এইজন্য নিয়ে চলে যাব। এখন অনুভব করতে পারলাম, পার্থক্যটা কী। পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার মধ্যে পার্থক্য কী। এখানে তো ঔরঙ্গজেব শাসন চলছে। আমার ওড়িশা খুব ভাল। আমার মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, আপনি আসুন। দরকার পড়লে এখানে মেডিক্যাল কলেজে মেয়েকে ভর্তি করে দেব...সবকিছু সহায়তা..ডিজি, ডিএসপি, এসপি...এমএলএ, এমপি সবাই...সবসময় আমার সঙ্গে খবর নিচ্ছেন। কিছু এসে দেখা করে গিয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন। ওড়িশা সবকিছু সাহায্য করছে আমাকে।"






















