Sougata Roy: 'কৌশিক সিপিএমই করতেন, এখন টিভি সিরিয়াল করেন', SSC মঞ্চে কৌশিকের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ সৌগতর
Koushik Sen: তাঁকে গালমন্দ করলে করুক, কিন্তু আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি হোক, পাল্টা বিবৃতি কৌশিকের।
কলকাতা: ৫৭৫ দিনে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-আন্দোলন। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতে গতকাল সপরিবারে ধর্নামঞ্চে যান নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন। এনিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কৌশিক সেনের প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছেন শাসক দলের বর্ষীয়ান সাংসদ। পাল্টা মুখ খুলেছেন নাট্যকর্মী কৌশিক সেনও।
কী বলেছেন সাংসদ:
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'ওঁর কথা বলার গুরুত্ব কী আছে। আমার ছাত্র ছিল। সিপিএম করত। নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের সময় এসেছিল। সেই সময় অনেকেই সিপিএম বিরোধী কথা বলেছিল। এখন আবার ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরে গিয়েছে। কৌশিক সেনরা সিপিএমই করতেন। এখন টিভি সিরিয়াল করে। মানুষের জন্য কোনওদিন লড়াই করেনি।'
পাল্টা প্রতিক্রিয়া:
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নাট্যকর্মী কৌশিক সেন বলেন, 'ওঁর কথা ওঁর দলের লোকেরাই অত গুরুত্ব দেন না। উনি একেক সময় একেক কথা বলেন। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় আমি কী করেছি তার কৈফিয়ত দেব না। কারণ মানুষের জন্য করেছি। আমাকে গালমন্দ করলেও যদি, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি হয়, তাহলে তাই হোক।'
কোজাগরী পূর্ণিমায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নিচে ধনদেবীর আরাধনায় উচ্চ প্রাথমিকের আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seeker Agitation)। পাশেই দুর্নীতির প্রতিবাদে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে আয়োজন করা হয় কবিগানের। অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুজোর দিনও মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির নিচে অবস্থানরত SSC চাকরিপ্রার্থীরা। লক্ষ্মীপুজোর দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান নাট্যকর্মী কৌশিক সেন (Koushik sen)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রেশমি সেন (Reshmi Sen), ছেলে ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৌশিক সেন বলেছিলেন, 'তদন্ত তদন্তের মতো হোক। দোষীরা শাস্তি পাক। পৃথিবী উল্টে যাক। এরা নিয়োগটা পান। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমার দাবিটা পেশ করব।' কৌশিক সেন, রেশমী সেন, ঋদ্ধি সেন এবং সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়রা কালো পোশাক পরে ধর্নামঞ্চে গিয়েছিলে। এটাও ছিল প্রতীকী প্রতিবাদ।এবিষয়ে রেশমী সেন বলেন, "আজকে আমার মনে হয় রঙিন পরে এসে ওদের সামনে দাঁড়ানোটা খুব নিজেদেরই খুব ছোট মনে হবে, কারণ ওনাদের দিনগুলি তো রঙিন হয়নি, ওনাদের দিনগুলি অন্ধকারে কালো, প্রদীপের নীচে অন্ধকার হয়েই থেকে গেছে।'