Rachana Banerjee: লকেটের সঙ্গে কথা নিয়ে চিন্তিত, হুগলিতেই থাকতে চান রচনা? এবিপি আনন্দকে কী জানালেন তিনি?
TMC Rachana Banerjee: ণমূলের হয়ে প্রথমবার প্রার্থী হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরদিন ফের মুখোমুখি এবিপি আনন্দের।
অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: ব্রিগেডের 'জনসভা' থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। শুধু এখানেই নয়, চমক রয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকাতেও। হুগলিতে (Hooghly) তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়েরর (Locket Chatterjee) বিরুদ্ধে লড়াই করতে চলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)।
হুগলিতে তারকা যুদ্ধ? প্রার্থী ঘোষণার পর এবিপি আনন্দকে বলেন, 'তৃণমূলের সমর্থক অনেক দিন ধরেই ছিলাম। এরকম না যে আমি অন্য কোনও দলের সমর্থক ছিলাম বা হঠাৎ করে তৃণমূল আমার জীবনে এল। হয়তো আমি রাজনীতি করিনি, কিন্তু আমি দিদির সমর্থক বরাবর ছিলাম। কারণ আমি নারীবাদিতে বিশ্বাসী। আমি নারীশক্তিতে বিশ্বাসী। যার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী, তাঁর পাশে যদি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকে তাহলে আর কে থাকবে।'
তৃণমূলের হয়ে প্রথমবার প্রার্থী হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরদিন ফের মুখোমুখি এবিপি আনন্দের।
প্রশ্ন: লকেটের বিপরীতে রচনা, সিনেমার সহকর্মী থেকে রাজনীতির ময়দানে, কোনও অসুবিধা কী হচ্ছে?
রচনা ভোটের ময়দানে এই বিষয়টি নিয়ে আমার তরফে কোনও অসুবিধা হবে না। এটা ঠিক যে সহশিল্পী থেকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গায় একটু অসুবিধা হবে। অন্য কেউ থাকলে হয়তো আরও ভাল হয় বিষয়টা। কিন্তু ঠিক আছে, লড়াই হোক, দেখা যাক কী হয়।
প্রশ্ন: লকেট চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই হুগলির সাংসদ, আপনার জন্য তিনি কী হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী?
রচনা- সে তো নিশ্চয়ই, উনি আমার জন্য হেভিওয়েট। আমার থেকে অনেক সিনিয়র রাজনীতিতে, সে কথা বলতে জানে। এতদিন ধরে রাজনীতি করছে, মানুষের পালস বোঝে। আমি তো ভাবছি লকেটের সামনে কথা বলব কী করে।
প্রশ্ন: রাজনীতির মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় কোন কোন বিষয়ে নজর রাখছেন?
বিশ্বাস করুন, আমার কাছে সত্যিই কোনও প্রস্তুতি নেই। খাতা বই কিছুই নেই। অনেকে হয়তো কত কিছু লিখে নিয়ে যায়। আমি রাজনীতিতে এসেছি একদম মন থেকে এসেছি। আমি একদম মন থেকে কথা বলব। মনের মধ্যে যা যা আছে সেটাই মাইকের সামনে বলব।
প্রশ্ন: হুগলির মানুষকে কী বার্তা দেবেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়? জয়ের বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
জয়ের বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী তা এখনি বলতে পারব না। সবে তো কাজে নামব। মানুষের কতাহ শোনার জন্য যতটা পারব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব। আর জয় কী হবে সেটা তো আমার জনগণই বলে দেবেন। তারা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করবেন কী না সেটা তো তাদের বিষয়। আমি আমার দিক থেকে আশাবাদী যে মানুষ আমাকে ভালবাসবেন, পাশে রাখবেন তাঁদের। আমি যেন এরপর হুগলি গিয়েই থাকতে পারি। এখনের ঠিকানার পাশাপাশি আমার দ্বিতীয় ঠিকানা যেন হুগলিই হয়।
রচনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টিকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'লড়াইটা মোদি ভার্সেস মমতা। এই লড়াইয়ে যতই লকেট ভার্সেস রচনা করুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না।'