Murshidabad : সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি, সামসেরগঞ্জ থানা ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
TMC : ধুলিয়ানের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় জৈনের বাড়ির সামনে গালিগালাজ ও অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ
রাজীব চৌধুরী, সাগরদিঘি : সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক (Sagardighi Congress MLA) বায়রন বিশ্বাসকে (Bayron Biswas) গ্রেফতারের দাবি। এই দাবিতে সামসেরগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ তৃণমূলের। সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে থানার গেটে দীর্ঘক্ষণ বসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
কিন্তু, কেন এই বিক্ষোভ ?
ধুলিয়ানের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় জৈনের বাড়ির সামনে গালিগালাজ ও অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এখনও চলছে বিক্ষোভ। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধায়কের পাশাপাশি ধুলিয়ান টাউন তৃণমূল সভাপতি এবং চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত রয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। বামের সমর্থনে বিধানসভায় খাতা খোলে কংগ্রেস। হাতে এসেছে সাগরদিঘি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে, সাগরদিঘিতে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। সেই ব্যবধান টপকে, প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারান বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, উপনির্বাচনের ভোট গণনায়, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় সব রাউন্ডেই এগিয়ে থাকেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস।
৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোটের কাছে তৃণমূলকে হারতে হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গেছে ! এই প্রেক্ষাপটে গত শুক্রবারই কালীঘাটের বৈঠকে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রবিবার ফোনে মুর্শিদাবাদের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে, বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেন, সাগরদিঘিতে টাকার খেলা হয়েছে। সেখানকার মানুষকে নানাভাবে ভুল বোঝানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একবার মমতা জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েত ভোটে, কারা টিকিট পাবে তা তিনিই ঠিক করবেন।
এর আগে, সাগরদিঘিতে হার নিয়ে নবান্ন থেকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, এখানে ইমমোরাল জোট হয়েছে। তীব্র নিন্দা করছি। যদি বিজেপির ভোট শতাংশ দেখেন, ২২ শতাংশ। এবার তাঁদের ভোট কংগ্রেসে পড়েছে, প্রায় ১৩ শতাংশ। সুতরাং তাদের ভোট কংগ্রেসে গেছে। সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধেছে, সেই সঙ্গে বিজেপির ভোটও কংগ্রেসে গেছে।
পাল্টা জবাব দিয়ে বায়রন বিশ্বাস বলেছিলেন, মানুষ আর বোকা নেই, সচেতন হয়েছে। মানুষকে এতদিন বোকা বানিয়ে চলেছেন দিদি। আর দিদির জায়গা নেই। দিদিকে স্বয়ং চ্যালেঞ্জ করছি আমি। দিদি আসুক, আমি লড়াই করব। আর যদি হেরে যাই, দিদির জুতো পালিশ করব, হাওয়াই চটি পরিষ্কার করব। আমি ক্ষুদ্র বায়রন, চ্যালেঞ্জ করছি।
আরও পড়ুন ; তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার কি 'সাগরদিঘি মডেল'? বিরোধীদের 'মহাজোটের' বার্তা দিলীপের