Sougata Roy : 'লজ্জা, বিড়ম্বনা, টাকার পাহাড় নিয়ে লোককে কী জবাব দেব?' পার্থকে তীব্র আক্রমণ সৌগত-র
Partha Chatterjee : সৌগত রায়ের সংযোজন, ' আমি তৃণমূলের লোক, তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব। আর দলের সবাইকে চোর বলে দাগাতে চাইলে তার প্রতিরোধও করব'।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) তীব্র আক্রমণ সৌগত রায়ের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার ও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। সামনে আসে 'অপা'-র শতকোটি সম্পত্তি। যা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল যে যথেষ্ট বিড়ম্বনায়, সেটা বুঝিয়ে সৌগত রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘টাকার পাহাড় দেখার পর লোকের কাছে কী জবাব দেব? ‘এই বিড়ম্বনা, এই লজ্জা তো আমাদের আছে।' শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা যেন কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।
লজ্জা, বিড়ম্বনা, পার্থকে আক্রমণ সৌগত-র
পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেছেন, 'এমন দুর্নীতি দেশে এর আগে বিশেষ দেখা যায়নি। লালুপ্রসাদ যাদব জেল খাটলেও টাকা উদ্ধার হয়নি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুখরামের থেকে ৩-৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ভাবে কোথাও কখনও দেখা যায়নি। ৫০ কোটি টাকার ছবি না দেখলে তো বিশ্বাস করতাম না। টাকার পাহাড় দেখার পর লোকের কাছে কী জবাব দেব? এই বিড়ম্বনা, এই লজ্জা তো আমাদের আছে’। যদিও দুর্নীতির প্রসঙ্গে বিব্রত বোধ করলেও দলের পাশেই থাকার বার্তা দিয়ে সৌগত রায়ের সংযোজন, ' আমি তৃণমূলের লোক, তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব। আর দলের সবাইকে চোর বলে দাগাতে চাইলে তার প্রতিরোধও করব'।
'যে চোর, সে চোর', শোভনদেবের তোপ
ফের দুর্নীতি (Scam) নিয়ে সরব খড়দহের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)l এদিন খড়দহ বিধানসভার বিলাকান্দায় দলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,' বিধানসভায় আমি বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোর্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে আসতে হবে। নইলে দল কাউকে স্বীকার করবে না। যে চোর, সে চোর। প্রমাণ হলে, দল তাঁকে সহ্য করবে না। সে যেই হোক, তাই বলে সবাই খারাপ, এটা হতে পারে না l'
'হাইকোর্টই সমস্ত জ্ঞানের আধার, এমনটা মনে করি না'
ডিএ মামলা নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেছেন, 'এই সিদ্ধান্তে খুবই দুঃখিত। রাজ্যের সত্যিই আর্থিক সমস্যা রয়েছে, সেজন্যই তো রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। ব্যাপারটা এমন মোটেই নয় যে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ দিতে চায় না।- এর পর আর রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ খোলা থাকবে না। হাইকোর্ট তাদের মতো রায় দিয়েছে, তবে হাইকোর্টই সমস্ত জ্ঞানের আধার, এমনটা মনে করি না। আর বিরোধীরা যে বলে খেলা-মেলায় টাকা যাচ্ছে, তাতে আর কত টাকা যায়? পুজোয় ২৫০ কোটি মতো অনুদান দেওয়া হয়েছে, আর মেলা-খেলায় তো অল্প টাকায় খরচ। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ দেওয়া অনেক টাকার ব্যাপার। বিরোধীরা কিছু বোঝেন না, তাই এসব বলছেন।'
আরও পড়ুন, 'একই লোক, তাঁর কী মহৎ গুণ', সুবীরেশ গ্রেফতারে বিস্ফোরক সৌগত রায়