Mamata Banerjee : 'ওখানে জাতীয় দলে 'INDIA', আর এখানে বিজেন্ডিয়া', বাংলার সিপিএম-কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা মমতার
Left and Congress : এরাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেস বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব থেকেছে
ঝাড়গ্রাম : ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সিপিএমের বিরুদ্ধে দু'-এক কথা বললেও, কংগ্রেসকে কোনও আক্রমণেই যাননি। জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে বিজেপি-বিরোধী জোটে যাতে কোনও আঁচ না লাগে সম্ভবত সেই লক্ষ্যে। অন্তত তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্যের পর তেমন বিশ্লেষণ ছিল রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে, এরাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেস বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব থেকেছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একের পর এক ঘটনার প্রতিবাদে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদলকে। একাধিক নেতৃত্ব ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এরাজ্যে রাজনৈতিক লড়াই চলবে। দিনকয়েক আগেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। 'কড়া' শব্দ প্রয়োগেও পিছপা হননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সম্প্রতি নিশানা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এই আবহে এবার তৃণমূল নেত্রীও পাল্টা বাংলার সিপিএম-কংগ্রেসকে একযোগে নিশানা করলেন। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে বিঁধলেন দুই দলকে।
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তিনি হুঙ্কার ছাড়েন, "যদিও এখন রাম-বাম, জগাই-মাধাই-গদাই, মানে সিপিএম-কংগ্রেস । আর দুর্ভাগ্যের বিষয় ওখানে জাতীয় দলে 'INDIA', আর এখানে বিজেন্ডিয়া। বিজেপির সাথে বসে আছে। লজ্জাও করে না। মানুষের একটা নীতি থাকে। সেই নীতিটা মেনে চলতে হয়। বাংলায় আমাদের লড়াই সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, যদি ওরা এমনটা করতে থাকে বাংলায়। আর বিজেপির বিরুদ্ধে তো আমাদের লড়াই থাকবেই।"
বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে কার্যত এককাট্টা হতে দেখা যায়। কংগ্রেস-আপের মধ্যে দূরত্ব ঘোচে। তৃণমূলনেত্রীকে রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর মাঝে বসে বৈঠকে সামিল হতে দেখা যায়। অথচ তার আগে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে কম অশান্তি হয়নি। যার পর এরাজ্যের বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে আসার একটা অনীহা বরাবরই দেখা গেছে। কিন্তু, তার পরেও জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে 'INDIA'-র ছাতার তলায় আসে সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল। এমনকী INDIA-র তরফে যে প্রতিনিধিদল মণিপুরে পাঠানো হয়েছিল, সেখানে ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি সুস্মিতা দেব ও কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীরা। অর্থাৎ বৃহত্তর স্বার্থে এই দলগুলি রাজ্য-রাজনীতির সমীকরণ সরিয়ে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন পর্বে সম্প্রতি অধীর চৌধুরীর মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি, বা আজ তৃণমূলনেত্রীর একযোগে বাংলার-সিপিএম কংগ্রেসকে নিশানার পর আগামী লোকসভা ভোটের আগে এখানকার সমীকরণ কী হতে চলেছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন ; পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের অপহরণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি অধীরের