Recruitment Corruption: ধৃত নীলাদ্রি দাসের নামে ২টি কোম্পানির হদিশ
দুটি কোম্পানির শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল ১ লক্ষ টাকা। এই দুটি কোম্পানিতে নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Corruption) ধৃত নীলাদ্রি দাসের (Niladri Das) নামে ২টি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। একটি রিয়েল এস্টেট, অপরটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি। দুটি সংস্থারই ঠিকানা পূর্ব দিল্লি (East Delhi)। সিবিআই সূত্রে (CBI) খবর, একটি কোম্পানির নাম ND বিল্ডকন প্রাইভেট লিমিটেড। যা তৈরি করা হয়েছিল ২০২১ সালে। এর আগে ২০১৫-য় ND ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরেকটি সংস্থা খোলা হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি কোম্পানিরই ডিরেক্টর নীলাদ্রি দাস। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে নীলাদ্রির স্ত্রী নাদিনের। দুটি কোম্পানির শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল ১ লক্ষ টাকা। এই দুটি কোম্পানিতে নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও দুটি সংস্থার হদিশ: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত নীলাদ্রি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুটি সংস্থার হদিশ পেল সিবিআই। সূত্রের খবর, এই দুটি সংস্থারই ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নীলাদ্রি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই সংস্থাগুলির কোনও যোগ রয়েছে কি? এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কি চাকরি বিক্রির টাকা অন্যত্র বিনিয়োগ করা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় OMR মূল্য়ায়নকারী সংস্থা নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই! এবার, নিলাদ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর দুটি সংস্থার হদিশ পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, ND বিল্ডকন প্রাইভেট লিমিটেড ও ND ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড দুটি সংস্থারই ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নীলাদ্রি। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে নীলাদ্রির স্ত্রী নাদিন দাসের।
নীলাদ্রি যে কয়েক বছর আগেই প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন, সেই তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যে কারণে চার বছর আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা CID.
সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পূর্ব দিল্লিতে খোলা হয় ND ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামের রিয়েল এস্টেট সংস্থা। পূর্ব দিল্লিতেই ND বিল্ডকন প্রাইভেট লিমিটে়ড নামে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা খোলা হয়েছিল তার ৬ বছর পরে।
এর আগে সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান, জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশে, নাইসার হেফাজতে থাকা OMR শিটে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিতেন এই নীলাদ্রি দাস।
সেক্ষেত্রে ওই দুটি সংস্থাকে কি OMR বিকৃতির কাজে লাগানো হয়েছিল? চাকরি বিক্রির টাকা কি এই সংস্থারগুলির মাধ্যমে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা হয়েছিল? তা জানতে, নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্টের নামে থাকা এই দুটি সংস্থার লেনদেন খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, নীলাদ্রির স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে সিবিআই।