Train Cancellation : শীতে ঘন কুয়াশার আশঙ্কা, ৩ মাস দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞপ্তি, রইল তালিকা
Eastern Railways : আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-এর ২ মার্চ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেন আংশিক বাতিল। কোনও কোনও রুটে কমানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : জাঁকিয়ে পড়ার মুখে এসে হাজির শীত। সকাল, সন্ধেতে বেশ মালুম হচ্ছে শীত শীত ভাব। সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার (Fog) প্রভাব। এই অবস্থায় শীতের মরসুমে ঘন কুয়াশার আশঙ্কা। ৩ মাসের জন্য দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ (Railways)।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-এর ২ মার্চ পর্যন্ত ইস্টার্ন রেলওয়েজের অর্ন্তঃগত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেন আংশিক বাতিল। কোনও কোনও রুটে কমানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা।
বাতিল ট্রেন- বাতিল ট্রেনের তালিকায় রয়েছে, মালদা টাউন-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস, কলকাতা-অমৃতসর এক্সপ্রেস, হাওড়া-দেরাদুন সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, কামাক্ষা-গয়া এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন।
সংখ্যা কমছে - শিয়ালদা-আজমেঢ় সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-কাঠগোদাম এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের সংখ্যা কমানো হয়েছে।
আংশিক বাতিল- আংশিক বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-মথুরা উইকলি এক্সপ্রেস ও কলকাতা-আগরা ক্যান্টনমেন্ট উইকলি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস।
বাড়ছে ঠান্ডা
সামান্য বাড়লেও বৃহস্পতিবারের কলকাতায় ১৮-র নীচেই তাপমাত্রা। দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ অব্যাহত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন এরকমই থাকবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট বজায় থাকবে। কোথাও কোথাও সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রা অন্য জেলার তুলনায় কম থাকবে।
অগ্নিপথ বিক্ষোভ
চলতি বছরের মাঝামাঝি অগ্নিপথ বিতর্কের মাঝে গোটা দেশজুড়ে প্রবলভাবে ব্যাহত হয়েছিল ট্রেন চলাচল পরিষেবা। মাত্র কয়েকমাস আগে উত্তাল হয়েছিল দেশ। সেনায় নিয়োগের (Army Recruitment) ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্ত 'অগ্নিপথ' (Agnipath Scheme) নিয়ে কার্যত আগুন জ্বলেছিল দেশের নানা প্রান্তে। এই পদ্ধতিতে নিয়োগের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিলেন সেনায় যোগ দিতে চাওয়া বিপুল চাকরিপ্রার্থী। সবচেয়ে বেশি আঘাত নেমে এসেছিল রেলের সম্পত্তির উপর। বেশ কিছু ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। স্টেশন, রেললাইনের ক্ষতি হয় বহু জায়গায়। তারপরেও কড়া অবস্থান নিয়েছিল কেন্দ্র। কোনওভাবেই সিদ্ধান্ত ফেরত নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র।