TMC: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতার প্রশ্নে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূলের
TMC Program: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, মিছিল করবে রাজ্যের শাসক দল।বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

কলকাতা: কাল ও পরশু দুপুর তিনটেয় ছাত্র ও যুব সংগঠন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে তৃণমূল (Trinamool Congress)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, মিছিল করবে রাজ্যের শাসক দল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী তথা বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পথে তৃণমূল: এদিন সকালে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি। শুধু তাই নয়, গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, “নিরপেক্ষ চেহারা হারাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের অধীনস্থ সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে, দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সব ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সবার সঙ্গে সমান ব্যবহার হোক। বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা। অসমের ক্ষেত্রে কেন নিষ্ক্রিয়? ঝাড়খণ্ডের ধৃত বিধায়করা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নাম করেছেন, সেখানে নিষ্ক্রিয় কেন? কেন নিষ্ক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি? কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি কেন্দ্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সারদাকর্তা বলেছেন গ্রেফতার হওয়ার আগেও টাকার লেনদেন হয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে কেন ডাকা হচ্ছে না? কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, শুভেন্দুর ভাইকে কেন ডাকা হচ্ছে না ? কাঁথি পুরসভা থেকে ফাইল সরানোর অভিযোগে কেন ডাকা হচ্ছে না?’ বাইরে তদন্তে গিয়ে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সিআইডিকে?’’
কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে কী অবস্থান তৃণমূলের? “দলের নিয়ম আছে, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে যথাসময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানানো হবে। অনৈতিক ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না তৃণমূল কংগ্রেস। অনৈতিক ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। অভিষেক ও মমতা আগেই এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কেউ মানুষকে ঠকালে দল পাশে নেই। কেউ মানুষকে ঠকালে তার পাশে দল নেই। যাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের সম্পদ মনে করে না দল। অভিযুক্ত হলে ডাকুন, গ্রেফতার করুন, পরে বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।’’
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: জুতো হাতে অনুব্রতকে ঘিরে বিক্ষোভ আসানসোলে






















