Narendranath Tiwari Expelled: মালদায় দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতার, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
Malda News: দুলাল সরকার খুনে বারবার ‘বড় মাথা’র জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। নরেন্দ্রনাথকে ইংরেজবাজার থানায় ডেকে ২১ ঘণ্টারও বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আশাবুল হোসেন, কলকাতা: মালদা তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতারির পর দল থেকে বহিষ্কৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি (Narendranath Tiwari Expelled)। ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল তৃণমূল। মালদা টাউন তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। গতকালই দুলাল সরকারের ঘটনায় গতকালই গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে।
দল থেকে বহিষ্কৃত: মালদায় তৃণমূলের শীর্ষনেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই আরেক শীর্ষনেতা। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন, বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয় মালদার জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে। সেই ঘটনার ৬ দিনের মাথায়, প্রায় ২১ ঘণ্টা ম্য়ারাথন জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলেরই ইংরেজবাজারের শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। ধৃত ৫ জনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা নরেন্দ্রনাথকে। খুন হওয়া তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ইংরেজবাজার পুরসভার বর্তমান কাউন্সিলর। আর ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর। এবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল তৃণমূল। মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির পর দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। দুলাল সরকার খুনে বারবার ‘বড় মাথা’র জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপরই তৃণমূলের শহর সভাপতিকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল দল।
গতকাল এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নিহতের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, "আমার যেটা মনে হচ্ছে, পুলিশ সঠিক তদন্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আরও কিছু মাথা থাকতে পারে, আমি আন্দাজ করছি। আমার নেত্রী, আমার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উপরে এবং রাজ্য সভাপতি-সহ আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রেখেছি।''
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে খুনের কথা কবুল করেছেন দলের ইংরেজবাজার শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। পুলিশ সূত্রে খবর। ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মালদার তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুনে মূল চক্রী তাঁর একদা বন্ধু ও একই পাড়ার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কুখ্যাত দুষ্কৃতী স্বপন শর্মা। তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের জন্য দেওয়া হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি। এমনই দাবি করেছে পুলিশ। দুলালকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই শার্প শ্যুটার-সহ ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। এখনও অধরা দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণ ওরফে রোহন রজক ও বাবলু যাদব। তাদের খোঁজ চলছে। তবে ঘটনার ৭ দিন পরেও খুনের মোটিভ নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ।