Sougata Roy: অর্জুন-মন্তব্যে 'অনড়' কিন্তু মদন-কটাক্ষে 'নীরব' বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ! কেন?
Madan Mitra: দলের দুই সতীর্থকে নিয়ে দুরকম মত প্রকাশ করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।

কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমা-বিস্ফোরণ, বাজি কারখানায় আগুনের মতো ঘটনা ঘটার পরে তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি এবং এক মৃত্যুর পরে এলাকায় দুষ্কৃতী দাপট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। দলের দুই সতীর্থকে নিয়ে দুরকম মত প্রকাশ করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
ব্যারাকপুরে কীভাবে এমন দুষ্কৃতী তাণ্ডব ঘটছে তা নিয়ে বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। কার্যত রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে নিশানা করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে অর্জুনের মন্তব্য দিয়ে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। সৌগত রায় বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা নিয়ে দলের মধ্যে বলা উচিত ছিল অর্জুনের।' আগেও নিজের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ।
অর্জুন সিংহের সঙ্গে সৌগত রায়ের বাগযুদ্ধ এর আগেও হয়েছিল। ব্যারাকপুরের ওই কাণ্ডের পরে অর্জুন বলেছিলেন, 'একজন সাংসদ হিসেবে কাল লজ্জা বোধ হচ্ছিল। আমি এত নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, আর আমার এলাকার মধ্যে একজন ২৭ বছরের ছেলে খুন হয়ে গেল! খুন করে দেওয়া হল। আজকাল ডাকাতি থেকে তোলাবাজি, ভাল ব্যবসা। কারণ ডাকাতি একটা দোকানে হবে, এক জায়গায় একজনকে ডাকাতির নাম করে খুন করে দেওয়ার পরে, তার নামে তোলাবাজি বেড়ে যাবে। ভয়ে লোকে টাকা দিয়ে দেবে।'
সেই কথায় পাল্টা সৌগত বলেছিলেন, 'অর্জুন সিংহের এমনটা বলা ঠিক হয়নি। পার্টির কাছে বলতে পারতেন! মুখ্যমন্ত্রীকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে বলতেন! ওঁর বক্তব্যের কোনও বেসিস আছে বলে আমি মনে করি না। অর্জুন আগে আমাদের সঙ্গে ছিলেন না, বিজেপি-র সাংসদ। এখন এসেছেন। আমরা চাই উনি থাকুন।' ওই বাগযুদ্ধের সময় অর্জুনের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মদন মিত্র।
ব্যারাকপুরে গুলিকাণ্ডের পর এক তত্ত্ব দিয়েছিলেন সৌগত রায়। যা নিয়ে জলঘোলাও হয় রাজ্য-রাজনীতিতে। তিনি বলেছিলেন, 'মিল বন্ধ হলে অনেক লোকের কাজ চলে যায়। তখন সেই ইয়ং ছেলেরা, তাদের তো খরচ-খরচা দরকার, তখন তারা কিছু ক্রাইমের দিকে ধাবিত হয়।'
এর কদিন আগেই রাজ্যে হয়ে যাওয়া পরপর বিস্ফোরণের ঘটনাতেও মুখ খুলেছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। সেবার তিনি বলেছিলেন, 'এই তীব্র গরমে বিস্ফোরণ হতেই পারে এ সব ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমনই হচ্ছে। যেমন জঙ্গলে আগুন লেগে যায়।' প্রবীণ সাংসদের এই বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, 'অধ্যাপক যদি বোমার মশলার উপাদান বলেন, তাহলে অপরাধীর সঙ্গে তাঁর তফাৎ থাকে না। ক্রিমিনাল যারা বোমা বাঁধে, তারাও বোমার মশলার উপাদান বলে না। একসময় কত ছেলেকে পড়িয়েছেন, আপনি বরং আমাদের কোচিং ক্লাসে জয়েন করুন।' যদিও মদনের ওই কটাক্ষের গুরুত্বই দিতে চাননি সৌগত রায়।
আরও পড়ুন: আর্থ্রারাইটিসের তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন? রোজের মেনুতে রাখতে পারেন এই ফলগুলি, পাবেন উপকার























