Alipur Court: ৫ বছরের লড়াই, নাবালিকা নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত স্কুলেরই ২ শিক্ষক
Kolkata News: স্কুলেরই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আলিপুরের বিশেষ আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-এর ডি ও পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত হন দুই শিক্ষক।
![Alipur Court: ৫ বছরের লড়াই, নাবালিকা নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত স্কুলেরই ২ শিক্ষক Two teachers of a reputed school have been convicted in the case of physical abuse of a minor, alipur court Alipur Court: ৫ বছরের লড়াই, নাবালিকা নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত স্কুলেরই ২ শিক্ষক](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/03/30/f67ca5db2835d0882615e03d20b1cd4e1680143184962385_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: প্রায় ৫ বছর চলেছে মামলা। অবশেষে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল স্কুলেরই দুই শিক্ষককে। কলকাতার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। সেখানেই এক চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় স্কুলেরই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আলিপুরের বিশেষ আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-এর ডি ও পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত হন দুই শিক্ষক। ৩১ মার্চ হবে সাজা ঘোষণা।
৫ বছর পর ধরে চলেছে লড়াই। সন্তানের জন্য বিচার চাইতে বারবার আদালতে দৌড়াদৌড়ি করেছেন দম্পতি। ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় স্কুলেরই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুরের বিশেষ আদালত।
২০১৭-র ৩০ নভেম্বর- শহরের ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচাগারে ৪ বছরের পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন রাতেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে শিশুর পরিবার। ১ ডিসেম্বর বিষয়টি জানাজানি হয়। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ওইদিনই অভিযুক্ত দুই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। ফুটফুটে শিশুর ওপর ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার বিচারের আশায় লড়াইয়ে নামেন মা-বাবা।
এদিন স্কুলেরই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে আলিপুরের পকসো আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি ধারা ও পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৩১ মার্চ সাজা ঘোষণা হবে।
আলিপুর পকসো আদালতের সরকারি
সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ বলেন, 'লার্নেড স্পেশাল কোর্ট ২ আসামীকেই শিশু সুরক্ষা আইনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে।'
ছাত্রীর পরিবার চায়, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর কেউ এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের কথা ভাবতে না পারে।
ওই ঘটনার পরে সরকারি নির্দেশিকা:
ওই ঘটনার পরে বেসরকারি স্কুলগুলির উদ্দেশ্যে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। বাসেও থাকতে হবে মহিলা কর্মী। জিডি বিড়লাকাণ্ডের পর বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা সরকারের।
ওই ঘটনায় বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যা ঘটেছে তা ঠিক নয়। টিচারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রাইভেট স্কুলগুলিকে আরও দায়িত্ববান হতে হবে। টোটাল শিক্ষক সমাজ খারাপ নয়। যারা খারাপ, তাদের আইসোলেট করতে হবে। দুষ্টুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপসের কোনও প্রশ্ন নেই। অন্যায়ের ক্ষমা নেই।'
আরও পড়ুন: 'দুর্নীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি', CBI তদন্ত নিয়ে ফের অসন্তোষ
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)