Kolkata News: ব্রাত্যর ক্রীতদাস শব্দের প্রয়োগে তপ্ত রাজনীতি, পাল্টা আক্রমণ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
Bratya-Dharmendra Tussle: তাঁর বৈঠকে গরহাজির রেজিস্ট্রারদের নিয়ে ব্রাত্যর ক্রীতদাস শব্দের প্রয়োগে তপ্ত রাজনীতি। এই ভাষা প্রয়োগে অপমান রাজ্যের, অপমান বাংলার সভ্যতার, পাল্টা মন্তব্য ধর্মেন্দ্র প্রধানের।
কলকাতা: উপাচার্য ইস্য়ুতে সংঘাতে এবার নতুন মোড়! গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসুর (Bratya Basu) ডাকা বৈঠকে অধিকাংশ রেজিস্ট্রার যাননি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই রেজিস্ট্রারদেরও গতকাল দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে।
কটাক্ষ ব্রাত্যর: গতকাল ৫ উপাচার্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু কটাক্ষের সুরে সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, মিস্টার বন্ড ,নাকি স্বপনকুমারের দীপক চট্টোপাধ্য়ায়? নিযুক্ত, সরকারি সাহায্য়প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (University) ৫ জন ক্রীতদাস উপাচার্য বিজেপির একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। আশা করি মাননীয় আদালত দেখছে! স্বৈরাচার! বাংলার উচ্চশিক্ষা ধ্বংস হচ্ছে! সব মিলিয়ে অস্থায়ী উপাচার্য ইস্য়ুতে সংঘাতের আঁচ আরও বা়ড়বে বলেই মনে করছে শিক্ষামহল।
5 slave VCs of State-Aided Universities so “authorised” by Mr. Bond (Or Dipak Chat by Swapnakumar?) met a Central BJP Minister today! Hopefully the Hon’ble Courts are watching!
— Bratya Basu (@basu_bratya) September 14, 2023
#Tyranny#Bengal Higher Education system destroyed!
কী বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান?
গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ৫ উপাচার্যের দেখা করার প্রেক্ষিতে এক্স হ্যান্ডেলে তাঁদের ক্রীতদাস বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ সেই প্রসঙ্গেই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পড়াশোনা জানা ব্যক্তিই হওয়া উচিত। এই ধরনের শব্দ শিক্ষামন্ত্রীকে শোভা দেয় না। এই ধরনের ভাষা ব্যবহার রাজ্যের অপমান, বাংলার সভ্যতার অপমান।'
চরমে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। গত শুক্রবার ব্রাত্য বসুর ডাকা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা। এবার দেখা গেল কার্যত উল্টো ছবি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর আমন্ত্রণে হাজির হলেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রাররা। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে ৩১ টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রারকে ডাকা হলেও অংশ নেন তার অর্ধেকেরও কম, মাত্র ১২ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১৯ জন রেজিস্ট্রার। কলকাতা,প্রেসিডেন্সি,রবীন্দ্রভারতী,বর্ধমান গৌড়বঙ্গ , ম্য়াকাউটের মতো বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রাররাও বৈঠকে আসেননি। গরহাজিরার কারণ জানাতে বলে, রেজিস্ট্রারদের চিঠি পাঠানো হয়। আর এই অনুপস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, “মেসেজ আছে, রাজভবন থেকে বারণ করা হয়েছে। যাতে না যায়। হাড় হিম করা সন্ত্রাস কে তৈরি করছে।’’