Vaccine Controversy : 'ভ্যাকসিনও চুরি' অভিযোগ দিলীপের, 'অসুখ-বিসুখ নিয়ে রাজনীতি ঠিক নয়' পাল্টা ফিরহাদের
Corona Scare : বছরের শেষে আবার ফিরে এসেছে করোনা উদ্বেগ। দিনে দিনে চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওমিক্রনের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, হিন্দোল দে, কলকাতা : বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকরাও বলেছিলেন এখানে ভ্যাকসিন (Vaccine) চুরি হয়। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Corona New Variant) নিয়ে আতঙ্কের আবহেই দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুস্টার ডোজ (Booster Dose) অনেক ফিরে গেছে, ফলে চুরির প্রশ্নই নেই। পাল্টা জবাব দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ফের করোনা উদ্বেগ
বছরের শেষে আবার ফিরে এসেছে করোনা উদ্বেগ। দিনে দিনে চিন্তা বাড়াচ্ছে। ওমিক্রনের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7। যে কারণে মাস্ক পরার সতর্কবার্তার পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশনের উপরেও ফের জোর দিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এসবের মাঝেই করোনা নিয়েও থেমে নেই রাজনীতি! রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করতে মোদি সরকার করোনাকে অজুহাত হিসাবে ব্য়বহার করছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছে।
ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগ
এবার করোনার ভ্যাকসিন চুরির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেছেন, 'ব্যাঙ্গালোর থেকে যখন ভ্যাকসিন বিমানে করে আসত আমাদের কলকাতা বিমানবন্দরে, যে ডাক্তাররা এসেছিলেন, আমাকে বলছে, দাদা এখানে চুরি হয় জানি, ভ্যাকসিনও চুরি হয়ে যাচ্ছে। এয়ারপোর্ট থেকে পুরো পেটি গায়েব করে দিচ্ছে এই নেতারা। বাংলার চোরের বদনাম এজন্যই হয়েছে।'
ভারতে করোনার ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি। তারপর মার্চে আছড়ে পড়েছিল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। ভ্যাকসিন নিতে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সেন্টারগুলিতে। কিন্তু, মাঝরাত থেকে লাইন দিয়েও বহু মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছিল ভ্যাকসিনের। সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েই, এদিন ভ্যাকসিন চুরির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ভ্যাকসিন ফেরত পাঠানোর বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'আর এই ভ্যাকসিন যখন দেওয়া হয়েছিল, শুরু হল, তখন আমাদের বিরোধী বন্ধুরা, সিপিএম, কংগ্রেস, টিএমসি, বলেছিল, ভ্যাকসিন নেবেন না, এ মোদি ভ্যাকসিন, এ বিরোধী ভ্যাকসিন, আপনাদের গিনিপিগ তৈরি করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি নিয়েছেন (ভ্যাকসিন)। যখন ঠিকঠাক চলল, এই নেতারা বউ-বাচ্চা নিয়ে আগে লাইনে দাঁড়িয়ে গেল। বাইরের লোক বলে যাচ্ছে, ভ্যাকসিন লুঠ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন ভ্যাকসিন সেন্টারে, এই নেতারা কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত থেকে নেতা, MLA, তাঁরা আগে থেকে দাঁড়িয়ে গেছেন।'
'অসুখ-বিসুখ এসব নিয়ে, রাজনীতি করা ঠিক নয়' পাল্টা তৃণমূলের
পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'Corona অসুখ-বিসুখ এসব নিয়ে, রাজনীতি করা ঠিক নয়। কখনও এসব ছোটখাটো কথা বলতে নেই, অবাস্তব কথা বলতে নেই। ভ্যাকসিন সবার জন্যই ছিল। বুস্টার-ডোজ প্রচুর ফিরে গেছে। সুতরাং চুরি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।' সিপিএম অবশ্য করোনা বা ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করতে নারাজ। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, 'কে কী করেছে জানি না, এই পরিস্থিতি নিয়ে চিরকাল সজাগ ছিলাম, আজও মাস্ক পরে আছি। অযথা ভয় দেখাচ্ছে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।'
কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুয়ায়ী, ১৩৫ কোটির দেশে রবিবার পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন প্রায় ১০৩ কোটি নাগরিক। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৯৫ কোটির কিছু বেশি এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ২৩ কোটির কাছাকাছি।
আরও পড়ুন- 'ভুয়ো' শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূল কাউন্সিলর ! তোলপাড়