(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Job Scam : 'ভুয়ো' শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূল কাউন্সিলর ! তোলপাড়
TMC : বর্তমানে সোনারপুরের চৌহাটি হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন কুহেলি ঘোষ। কিন্তু তার অন্য আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তিনবারের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ ।
হিন্দোল দে, রঞ্জিত হালদার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) প্রকাশিত ৯৫২ জনের তালিকায় নাম রয়েছে সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার (Sonarpur-Rajpur Municipality) তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor)। বর্তমানে চৌহাটি হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষিকা (Teacher) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি। যদিও তালিকা প্রকাশের পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
'ভুয়ো'দের তালিকায় কাউন্সিলর
হাইকোর্টের নির্দেশে নম্বর বদল হয়েছে, এরকম ৯৫২ জনের OMR শিট বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকায় তালিকার ৪৭৪ নম্বরে নাম রয়েছে কুহেলি ঘোষের। SSC সূত্রে খবর, তালিকায় সকলের ক্ষেত্রেই গাজিয়াবাদে অভিযান চালিয়ে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা হার্ডডিস্কের সঙ্গে, কমিশনের সার্ভারে থাকা নম্বরের ফারাক রয়েছে।
বর্তমানে সোনারপুরের চৌহাটি হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন কুহেলি ঘোষ। কিন্তু তার অন্য আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তিনবারের তৃণমূল কাউন্সিলর কুহেলি। শেষ পুরভোটে তিনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন। তৃণমূলের এরকমই একজন জনপ্রতিনিধির নাম রয়েছে OMR শিটে নম্বর পাল্টে চাকরি পাওয়াদের তালিকায়।
কী জানাচ্ছে স্কুল
চৌহাটি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি স্কুলে যোগ দেন কুহেলি। SSC-র সুপারিশপত্র ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র পরীক্ষা করেই তাঁকে যোগদান করানো হয়। তারপর সেই সংক্রান্ত নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হইচই পড়ে যাওয়ার পর, এ নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে ডিআই অফিস।
চৌহাটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় নস্কর বলেছেন, 'কুহেলি ঘোষ বলে এক শিক্ষিকা আমাদের স্কলে চাকরি করেন। ওবিসি বি ক্যাটিগরিতে যোগদান। মাস দেড়েকের মধ্যে তিনবার ডিআই অফিসের তরফে ইমেলে জানতে চাওয়া হয়েছিল, একটা ফরম্যাট দিয়ে, সব নথিও পাঠানো হয়েছে।'
যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি
SSC-র তরফে বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেদিনও স্কুলে যান। কিন্তু তারপর থেকে আর আসেননি। সূত্রের খবর, সেদিন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বাজেট নিয়ে কাউন্সিলরদের বৈঠকেও যোগ দেননি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এমনকি বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি কুহেলি ঘোষের। এরপর রবিবার ফের আমরা গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কিন্তু কথা তো দূরের কথা, আমাদের দেখেই দরজা-জানলা বন্ধ করে দিলেন কুহেলি ঘোষের পরিবারের এক সদস্য।
মুখ খুলছে তৃণমূলেরই একাংশ
এই ঘটনায় দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলেরই একাংশ। সোনারপুর রাজপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আদিত্য রায় চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা আগেও শুনেছিলাম উনি ভুয়ো চাকরি করছেন। অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় লোক ক্ষুব্ধ, জেলার বড় বড় নেতাদের ধরে উনি এই চাকরিটা পেয়েছেন।' কুহেলি ঘোষের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি কোনও মেসেজের উত্তরও দেননি।