Viswa Bharati University: বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বাড়ল না বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ, অন্তর্বর্তী উপাচার্যর পদে সঞ্জয়কুমার মল্লিক
কলা ভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক হলেন বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বাড়ল না বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চাকরির মেয়াদ। বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য হলেন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। কলা ভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয়কুমার মল্লিক হলেন বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যাঁকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ তরজা, অবশেষে তাঁরই চাকরির মেয়াদ শেষ হল। ফলক বিতর্কে একদিকে যখন দীর্ঘ জলঘোলা অব্যাহত, অন্যদিকে দায়িত্বে এলেন বিশ্বভারতীর নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য।
শেষ চাকরির মেয়াদ: বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্য পদে আজই শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চাকরির মেয়াদ। উল্লেখ্য, অবসরের আগের দিন ফের মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) পত্রাঘাত করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, 'যাঁরা রাবীন্দ্রিক বলে নিজেদের দাবি করেন, তাঁদের অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ওই রাস্তা বেছে নেন'। উপাচার্যর ভূমিকা নিয়ে নিন্দায় সরব আশ্রমিক থেকে অধ্যাপকরা। সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূলও (TMC)। তবে ফলক যে পরিবর্তন যে করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্বভারতী।
কেন নাম নেই কবিগুরুর? ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্মান পাওয়ার পরে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস জুড়ে বসানো হয়েছে ফলক। সম্মান-প্রাপ্তির ফলকে আচার্য-প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্যের নাম থাকলেও, কেন কবিগুরুর নাম নেই- এই প্রশ্ন ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফলক পরিবর্তন যে করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, 'রাবীন্দ্রিকরা যতই গলা ফাটাক, আচার্য তো নরেন্দ্র মোদি-ই। এর কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। ফলকে নামগুলি অপ্রাসঙ্গিক বলা, মূর্খামি নয় কি? সামান্য ফলকে গুরুদেবের নাম না থাকলেও তিনি এবং তাঁর পিতৃদেব মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি কখনও অস্বীকার করা যাবে?
তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে অনুপম: বিশ্বভারতীর ফলক ইস্যুতে সুর চড়িয়ে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিগত কয়েকদিন ধরেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল। গতকা তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে চড়া সুরে আক্রমণ করেন অনুপম হাজরাও। ফলক-বিতর্কে উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করে ভণ্ড বিজেপি বলে কটাক্ষ করেন তিনি । যা নিয়ে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়ায় অনুপমকে কটাক্ষ করে পাল্টা সুর চড়ান শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, 'যেতে ইচ্ছে হলে তৃণমূলে চলে যেতে পারে, এটা পার্টির কথা নয়। অনুব্রতর বাড়িতে মাছের ঝোল-ভাত খেয়ে হজম হয়েছে তো?'। পাশাপাশি রাজ্য অফিসে বসা টিয়া পাখি বলে শমীককে পাল্টা আক্রমণ শানান অনুপমও।