![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Paschim Medinipur: অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, রুখতে তৎপর গ্রামবাসীরাই
Villagers Stop Illegal Deforestation:সরকারি গাছ অবৈধভাবে কাটা আটকাতে এগিয়ে এলেন গ্রামবাসীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর দু'নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গারামপুর এলাকার ঘটনা।
![Paschim Medinipur: অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, রুখতে তৎপর গ্রামবাসীরাই Villagers Stop Illegal Deforestation At Kharagpur Area Of Pashchim Medinipur Paschim Medinipur: অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, রুখতে তৎপর গ্রামবাসীরাই](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/12/08/b1a92b078bbd4b74e0c37aaae216b6c21670507455607482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: সরকারি গাছ (tree) 'অবৈধভাবে' (illegal) কাটা (deforestation) আটকাতে এগিয়ে এলেন গ্রামবাসীরা (villagers)। পশ্চিম মেদিনীপুর (pashchim medinipur) জেলার খড়গপুর দু'নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গারামপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কাল থেকে অবৈধভাবে গ্রামীণ রাস্তার দু'ধারে সরকারি গাছ কাটা চলছে। ঠিকাদারদের কাছে গাছ কাটার অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি বলে দাবি স্থানীয়দের। তার পরই বন্ধ হয় প্রক্রিয়াটি।
কী ঘটেছিল?
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত কাল গাছ কাটা শুরু হতেই তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল-পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে গাছ কাটার ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশ্ন করলে তিনি তাঁদেরও জানিয়ে দেন, এই ব্যাপারে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরেই আজ সকালে ঠিকাদার লোকেদের গাছ কাটতে নিয়ে গেলে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে বাধা দেন। জানতে চান, বৃক্ষহননের অনুমতি রয়েছে কিনা। দাবি, ঠিকাদার এমন কোনও অনুমতির কাগজ দেখাতে পারেননি। ফলে কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ নতুন নয়...
স্থানীয়দের বক্তব্য, এখানে অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনা নতুন নয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও অনুমতি না থাকলেও গাছ কাটছিলেন ঠিকাদার এমনই দাবি এলাকাবাসীর। যদিও ঠিকাদার সেই অভিযোগ মানেননি। জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই তিনি এই কাজে হাত দিয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে অনুমতির কাগজ তাঁর কাছে নেই। এদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, গাছ কাটতে গেলে পঞ্চায়েত দফতরে টেন্ডার ডাকা হয়। তারপরে গাছ কাটার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁদের থেকে গাছ কাটার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁচা মারতে ছাড়েনি বিজেপি। তাঁদের কটাক্ষ, অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় তৃণমূলের মদতে অবৈধভাবে গাছ কাটা চলছে। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরেই দেউচা পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে বিতর্কের মাঝে সরকারি গাছ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের মহম্মদবাজারে। সেখানে বড় গাছের কেটে নেওয়া গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। অভিযোগ, পুজো শেষ হতেই প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগ নিয়ে কেটে ফেলা হয়েছিল শিরীষ, শিশু, সোনাঝুরি-সহ ৩৩টি গাছ। মহম্মদবাজার থেকে দেউচা যাওয়ার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্বিচারে সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয় বলে শোনা যায়। কিন্তু গাছ কাটল কারা? স্থানীয়দের দাবি, বেআইনিভাবে গাছ কাটায় অভিযুক্ত গ্রামেরই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)