Viswabharati University: অবশেষে বিশ্বভারতীর বিতর্কিত ফলক ভেঙে বসানো হল কবিগুরুর নাম, তবুও অব্যাহত বিতর্ক
Birbhum: অবশেষে বদলাল বিশ্বভারতীর বিতর্কিত সেই ফলক। তবে ফলক পরিবর্তন ঘিরেও নতুন করে মাথাচাড়া দিল বিতর্ক।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: অবশেষে বিশ্বভারতীর (Viswabharati) বিতর্কিত ফলক ভেঙে বসানো হল কবিগুরুর নাম ও শান্তিনিকেতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লেখা নতুন ফলক। তারপরেও কাটল না বিতর্ক। বুধবার রাতে বসানো হয় নতুন ফলক। রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্য়ে কেন ফলক পরিবর্তন করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যখন নির্দেশ এসেছে সেই অনুয়ায়ী কাজ হয়েছে, জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক।
অবশেষে বদলাল বিশ্বভারতীর বিতর্কিত সেই ফলক। তবে ফলক পরিবর্তন ঘিরেও নতুন করে মাথাচাড়া দিল বিতর্ক। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে বুধবার রাতে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ও শান্তিনিকেতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ লেখা নতুন ফলক বসানো হল বিশ্বভারতীতে।
দিনের বেলার পরিবর্তে কেন রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্য়ে ফলক বদলানো হল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। যদিও বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক বহুয়া বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, যখন নির্দেশ এসেছে সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। যদিও তাতে বিতর্ক, শেষ হইয়াও হইল না শেষ! ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে'-র তকমা দেয় ইউনেসকো (Unesco)।
২০ অক্টোবর বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য়বাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্র ভবন ও গৌরপ্রাঙ্গনে পাথরের ফলক বসানো হয়। সেই ফলকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর (Biyut Chakraborty) নাম থাকলেও ব্রাত্য় ছিল খোদ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।
যা ঘিরে বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ফলকে কবিগুরুর নাম ব্রাত্য় থাকা নিয়ে সরব হন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনবাসী। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশ্বভারতীর সামনে ধর্নায় বসে তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনায় সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়া পোস্টে নাম না করে বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। বিশ্বভারতীর কৈফিয়ত তলব করেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। বিতর্কের জেরে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বিতর্কিত ফলক বদলে নতুন ফলক বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন ফলকে কী লিখতে হবে তার বয়ানও নির্দিষ্ট করে দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই নির্দেশ মতো অবশেষে বিতর্কিত ফলক সরিয়ে বিশ্বভারতীতে বসল নতুন ফলক।