Murshidabad Chaos:৪ মাস আগে স্ট্রোক, দুষ্কৃতীদের হাতে তছনছ ঘর; ক্যাম্পে মিলছে জীবনদায়ী ওষুধ
কারও দোকান পুড়েছে, তো কারও ঘর। কারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রুটি-রুজি। কেউ আতঙ্কে বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারছেন না।

শিবাশিস মৌলিক, মুর্শিদাবাদ: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের আগুনে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Chaos)। ঘর তছনছ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ৪ মাস আগে স্ট্রোক হয়েছিল। বেদবনার বাসিন্দা রাধানাথ মণ্ডল মালদার পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে সঙ্গে আনতে পারেননি জীবনদায়ী ওষুধটাও। তাঁর অভিযোগ, ক্য়াম্পেও সে ওষুধ মিলছে না।
প্রতিবাদের আগুনে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ: কারও দোকান পুড়েছে, তো কারও ঘর। কারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রুটি-রুজি। কেউ আতঙ্কে বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারছেন না। তো কেউ ফের আক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের আগুনে বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ। ৪ মাস আগে স্ট্রোক হয়েছিল। ঘর তছনছ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বেদবনার বাসিন্দা রাধানাথ মণ্ডল পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে সঙ্গে আনতে পারেননি জীবনদায়ী ওষুধটাও। রাধানাথ মণ্ডলের অভিযোগ, "হার্ট ব্লক হয়েছে আমার। না ওষুধ পাচ্ছি না।'' রাধানাথ মণ্ডলের ছেলের কথায়, "কালকে থেকে বলছি ওষুধটা দিন ওষুধটা দিন। হার্টের অসুখ আছে। ওষুধটাই দিচ্ছে না। যা ছিল বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ওষুধ নেই আমাদের।''
এক কাপড়ে ঘরছাড়া। সঙ্গী হয়েছে শুধু দুঃসহ স্মৃতি আর একরাশ ভয়। সামশেরগঞ্জের বেতবনা গ্রাম থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন মালদার বৈষ্ণবনগরে পারলালপুর হাইস্কুলে। কবে ঘরে ফিরবেন জানেন না তাঁরা। পারলালপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য শিবির চলছে। চিকিৎসক প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, "আমি গত ৩ দিন থেকে আসছি। মোটামুটি ২০০ থেকে আড়াইশোর মধ্য়ে রোগী দেখা হয়েছে। তার মধ্য়ে ৬-৭টা রোগী খারাপ আছে। একজনের হার্টের সমস্য়া আছে। ওষুধ এনে দেব বলেছি।''
শুধু রাধানাথ মণ্ডলই নয়, এই তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে। পয়লা বৈশাখে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো করে প্রায় ২০০ প্যাকেট মিষ্টি বিলি করতেন পাড়ায়। কী থেকে যে কী হয়ে গেল, বুঝে উঠতে পারছেন না বেদবনার রবি মণ্ডল। প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে লক্ষ্মী গণেশ পুজো করে ২০০ প্যাকেট মিষ্টি বিলি করেন পাড়ায়. পয়লা বৈশাখের কয়েকদিন আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি। এবারে পয়লা বৈশাখের কয়েকদিন আগে থেকেই মালদহের ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন তিনি। প্রতিরোধ করেও পারেননি৷ দোকান থেকেই পালিয়ে আসেন ত্রাণ শিবিরে। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা হয়েছে মালদহের ত্রাণ শিবিরে এসেই। প্রতিরোধ করতে যাওয়ার সময় সামনের সারিতে ছিলেন তারাই। পিছনে লাঠি হাতে ছিল ৪ জন পুলিশ। তারাও একটু পরে চলে যায় এমনই বলছেন রবি মণ্ডল।






















