WB Dengue Death: দক্ষিণ দমদমে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু
South Dumdum Dengue Death: ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ। শুধুমাত্র দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে ৭ জনের মৃত্যু।
কলকাতা: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি (Dengue)। দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum) ফের ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু। মৃতার নাম রুনা বসাক, বয়স ৫৩। মৃতের বাড়ি বাঙুরের শ্যামনগর রোডে। নাগেরবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু রুনা বসাকের।
ফের ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু: রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। বেসরকারি মতে, রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। সরকারি মতে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩। কলকাতা তো বটেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাতেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। জানা গিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রুনা। মৃত্যু হয় ২১ সেপ্টেম্বর। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ। শুধুমাত্র দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে ৭ জনের মৃত্যু।
পাশাপাশি কলকাতায় প্রাণঘাতী ডেঙ্গি। এবার মৃত্যু হল কলকাতা পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়গড়ের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শা রোডের ১২ বছরের বালিকার। যাদবপুর গার্লস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ডোনা দাস। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর জ্বর আসে। পরের দিনই ডেঙ্গি ধরা পড়ে। শুক্রবার পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসককে দেখানো হয়। শনিবার নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে ওই বালিকা। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমার্জেন্সিতেই মৃত্যু হয় বালিকার। এলাকায় আরও অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে রাখতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরসভা কোনও কাজ করছে না। কাউন্সিলরকে জানিয়েও কাজ হয়নি। অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর বসুন্ধরা গোস্বামী। তাঁর দাবি, চলতি মরশুমে শুধুমাত্র তাঁর ওয়ার্ডেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা পুর-এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
এদিকে ডেঙ্গি নিয়ে এই উদ্বেগের মধ্যেই নতুন বিতর্ক। চলতি বছরে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে দেয়নি বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই এখনও পর্যন্ত কতজন ডেঙ্গি আক্রান্ত এবং ডেঙ্গিতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান দেয়নি। এর আগে ২০২০, ’২১ এবং ’২২ সালে রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রকে পাঠালেও, ২০১৮ এবং ’১৯ সালেও কোনও তথ্য দেয়নি বলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটে উল্লেখ।
আরও পড়ুন: Malda: ভাঙন মোকাবিলায় ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি সাংসদ, নেতাদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি