WB Poll Result: ঝালদায় কংগ্রেসের বড় জয়, ৭৭৮ ভোটে জিতলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো
WB Election Result 2022 :ঝালদায় কংগ্রেসের বড় জয়, ৭৭৮ ভোটে জিতলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো। বিস্তারিত আসছে।
পুরুলিয়াঃ ঝালদায় (Jhalda By Election 2022) কংগ্রেসের বড় জয়, ৭৭৮ ভোটে জিতলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু (Mithun Kandu)। এদিন গণনা শুরু হতেই কংগ্রেসের জয়ের খবর আসে। ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বড় জয় কংগ্রেসের (Congress)। নিহত তপন কান্দুর (Tapan Kandu) ওয়ার্ডে জয়ী হল কংগ্রেস। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। মিঠুন কান্দু জানিয়েছেন, 'জয় আগেই নিশ্চিত ছিল।' মিঠুন কান্দুর বিপুল ভোটে জয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসে ভাসল গোটা পুরুলিয়া (Purulia)।
আরও পড়ুন,প্রবল বর্ষণের জেরে শিলিগুড়ি ভোট গণনায় পড়ল প্রভাব !
'কাকিমার চোখের জলের জয়'-বললেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু
উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার ঝালদায় হত্যা (Murder) করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। যার হত্যাকাণ্ডের এখনও তদন্ত চলছে। আর সেই ২ নং ওয়ার্ডে, কম জল ঘোলা হয়নি। তবে তপন কান্দু হত্যার পর ফের উপনির্বাচন হয়েছে এবার। এবং সেই স্থানে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে এবার ভোটে লড়েছেন মিঠুন কান্দু। তবে প্রথম থেকে এই ওয়ার্ডে কংগ্রেস- তৃণমূলের একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল।তবে ফের ঝালদার ২ ওয়ার্ডে কংগ্রেসের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। বড় ব্যবধানে জয়ের পর কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মিঠুন কান্দু বলেছেন, 'কাকিমার চোখের জলের জয়। জয় প্রত্যাশিত ছিল, দাবি তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর।' পাশাপাশি, ' ঝালদা টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্ঘাতে হেরেছি', অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর। 'মোটে ১৫২ ভোট পেয়েছি, এটা প্রত্যাশিত নয়', অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীর।
প্রসঙ্গত, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে রাজ্যের এসআইটি-র হাতে তদন্তের দায়িত্ব এলেও, পরে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়, কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে ততদিনে ঝালদা থানার আইসি এবং তপন কান্দু-সহ আরও এক তৃণমূল কর্মীর উসকানিমূলক রেকর্ড ফাঁস হয়েছে বলে দাবি রাখে কংগ্রেস নের্তৃত্ব। এমনকি নিহত তপন কান্দু-র স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু স্পষ্টভাবে একই দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। এবং তাঁর মেয়েও ক্ষোভ উগরে দেন এই ঘটনার পর। তবে কাকার মৃত্যু পর, কংগ্রেসের পদপ্রার্থী রূপে তপন কান্দু প্রকাশ পেতেই , তিনি বলেছিলেন, কাকার দেখানো পথেই তিনি এগিয়ে যেতে চান। এবং তার দায়িত্ব কর্তব্য কাঁধে নিতে চান। স্বাভাবিকভাবেই এদিনের জয়ের পর বাধ ভাঙা আনন্দ কান্দু পরিবারে।