Governor: 'হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে' জয়নগর ইস্যুতে বার্তা রাজ্যপালের
Jaynagar Update: 'আইন আইনের পথে চলবে, রাজভবন কর্তব্য পালন করবে,' জয়নগরকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের।
কলকাতা: খুন, খুনের বদলা খুন এবং তারপর আগুন-ভাঙচুর-লুঠপাট। জয়নগরের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার। কিন্তু এখনও এলাকায় ভয়ের পরিবেশ। তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনাতেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা অথবা সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাটের ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই পরিস্থিতিতে এবার হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)।
উৎসব ম্লান করে দিয়েছে হাড় হিম করা সন্ত্রাস। সোমবার অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সইফুদ্দিন লস্কর। বাঙালবুড়ি মোড়ে তৃণমূল নেতাকে গুলি করতেই, দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে কয়েকজন। ৫০০ মিটার দূরে, একজনকে ধরে ফেলে তারা। ভাইরাল হয় সেই সময়কার ভিডিও। সাহবুদ্দিন শেখ নামে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বামনগাছির বাঙালবুড়ি মোড়ে যখন খুনোখুনি চলছে, ঠিক সেই সময় ৫ কিলোমিটার দূরে দলুয়াখাকি গ্রামে শুরু হয় তাণ্ডবলীলা। গ্রামবাসীদের দাবি, খুনে খবর ছড়াতেই, বেছে বেছে সিপিএম সমর্থকদের ঘরে তাণ্ডব চালানো হয়। আধঘণ্টার মধ্যেই খবর আসে, একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী দমকলকেও আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে পরিস্থিতি।
হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা: এদিন রাজ্যপাল বলেন, "আইন আইনের পথে চলবে, রাজভবনও তার কর্তব্য পালন করবে। হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধুমাত্র আইনি ব্যবস্থা নয়, সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। হিংসা বাংলার রাজনীতিকে প্রভাবিত করছে। এই হিংসার সংস্কৃতিকে বন্ধ করতেই হবে। আগুন লাগানো, হুমকি দেওয়া এগুলো সব অপরাধের অংশ। অপরাধের পরিবেশ এই রাজ্যের কিছু জায়গায় আছে।''
এদিকে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা দুটি বাইক ঘিরে রহস্য। একটি বাইকের রেজিস্ট্রেশন দলুয়াখাকি গ্রামের সিপিএম কর্মী মুসিবুর রহমান লস্করের নামে। পুলিশের দাবি, মুসিবুর পলাতক। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, এই দুটি বাইকে চড়েই আততায়ীরা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে খুন করতে এসেছিল। একটি বাইকে নম্বর প্লেট উধাও। দ্বিতীয় বাইকটির নম্বর প্লেট রয়েছে এবং বাইকে নাম লেখা রয়েছে সিপিএম কর্মী মুসিবুর রহমান লস্করের। খোঁজ মিলেছে মুসিবুরের পরিবারের। সিপিএম কর্মীর পরিবারের দাবি, তৃণমূল নেতার খুনের সময় বাড়িতেই ছিলেন মুসিবুর। পুলিশ আসায় তিনি পালিয়ে যান। এরপরই পেশায় দর্জি সিপিএম কর্মীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএম কর্মীর পরিবারের দাবি, ওই রাতে বাড়ির সামনেই দাঁড় করানো ছিল বাইক। কী করে সেই বাইক ৫ কিলোমিটার দূরে পুলিশ উদ্ধার করল, তা ভেবেই পাচ্ছে না সিপিএম কর্মীর পরিবার।
আরও পড়ুন: Nadia News: 'লাল নাটকে আপত্তি' প্রতিক্রিয়া দেবেশের, সমালোচনায় সরব কৌশিক