WBCS Exam Preparation: মনসংযোগের জোরেই হতে পারে বাজিমাত! WBCS-এ অঙ্কের প্রস্তুতির খুঁটিনাটি
ABP Live Exclusive: সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অঙ্ক ঠিক কেমন? কতটা স্কোরিং? কতটাই বা কঠিন? অঙ্ক নিয়ে আদৌ ভয় পাওয়ার কি কোনও কারণ আছে? WBCS পরীক্ষার আগে কীভাবে অঙ্কের প্রস্তুতি নেবেন ছাত্রছাত্রীরা?
কলকাতা: অঙ্ক এমন এক বিষয় যার সঙ্গে পরিচয় লেখাপড়ার একবারেই প্রাথমিক স্তর থেকে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত যে বিষয়ের চর্চা করতে হয় প্রত্যেক পড়ুয়াকে। অঙ্ক (Mathematics) শুনলেই অনেকেরই ভয় লাগে। কঠিন বলে মনে হয়। অঙ্ক আবার কারোর কাছে বেশ স্কোরিং একটা বিষয়। তবে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অঙ্ক ঠিক কেমন? কতটা স্কোরিং? কতটাই বা কঠিন? অঙ্ক নিয়ে আদৌ ভয় পাওয়ার কি কোনও কারণ আছে? WBCS পরীক্ষার আগে কীভাবে অঙ্কের প্রস্তুতি নেবেন ছাত্রছাত্রীরা? এই নিয়ে আলোচনা করলেন WBCS অফিসার প্রতীক মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে যিনি দুর্গাপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার।
অঙ্কের প্রস্তুতি: প্রথমেই মনে রাখতে হবে অঙ্কের অংশ পুরোটাই মাধ্যমিক স্তরের। ফলে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া বা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। অঙ্ক এবং জিই-এর যে সিলেবাস রয়েছে তার মধ্যে মূলত রয়েছে পাটিগণিতের অংশ। সিলেবাসে রয়েছে পরিমিতি। কিছু বেসিক জ্যামিতির অংশ থাকে। মূলত মাধ্যমিক স্তরের প্রশ্নই আসে প্রিলিমসে। মেনসে কখনও কখনও বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি থেকে প্রশ্ন এসেছে। প্রিলিমসে যে সেখান থেকে প্রশ্ন আসবে না, তা কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে মূল লক্ষ্য রাখতে হবে পরিমিতি এবং পাটিগণিতের প্রস্তুতির উপর।
জিই-র প্রস্তুতি: জিই-এর ক্ষেত্রে ভার্বাল, নন ভার্বাল দুধরনের রিজিওনিং-ই WBCS-এ আসে। GI -এর ক্ষেত্রে ভার্বাল রিজিওনিং, নাম্বার সিরিজ, ডিরেকশন, ব্লাড রিলেশনের প্রশ্ন প্রস্তুতি পর্বে বেশি জোর দিতে হবে। যে প্রশ্নে ছবি, ডায়াগ্রাম, নম্বর থাকে, সেগুলি নন ভার্বাল। যে প্রশ্নে পরিস্থিতি, ডিরেকশন, ব্লাড রিলেশন উল্লেখ করে দেওয়া হয়, সেগুলি ভার্বাল রিজিওনিং। এই ধরনের প্রশ্ন প্রিলিমসে আসার সম্ভাবনা বেশি। একইসঙ্গে ব্লাড রিলেশনের প্রশ্নও আসে। যা অনেকটা ব্যাঙ্কের পরীক্ষার প্রশ্নের মতো।
প্রশ্নের বৈচিত্র্য: পরীক্ষার ধরণ এখন অনেকটা বদলেছে। একইসঙ্গে কঠিন হয়েছে নম্বর তোলার বিষয়টিও। প্রশ্নের মধ্যে বৈচিত্র্যও বেড়েছে। আগে অনেকেরই ধারণা ছিল, গত দশ বছরের প্রশ্ন সমাধান করে গেলেই উত্তর লেখা যাবে পরীক্ষায়। কিন্তু এখন এই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ৫ প্রশ্ন দশ বছরের মধ্যে থেকে এলে ২০টি নতুন প্রশ্ন আসবে। যা আগে কোনও বছরই আসেনি। এক কথায়, ঘুরিয়ে প্রশ্ন আসে অঙ্কে। প্রশ্ন এমন ভাবেই ফ্রেম করা হচ্ছে যে তাতে মনসংযোগ সামান্য নড়চড় হলে উত্তর ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে প্রশ্ন খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস কিন্তু প্রস্তুতি পর্ব থেকেই করতে হবে। মাথা খাটিয়ে সমাধান করতে হবে।
মনসংযোগে জোর: GI –এর ক্ষেত্রে ভার্বাল রিজিওনিং প্রশ্নে আসে। এমন কিছু ভার্বাল রিজিওনিং আসে যা পরিস্থিতি উল্লেখ করে দেওয়া হয়। যার উত্তর ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হতে পারে। মনে রাখতে হবে এখন অঙ্কে ২৫ নাও পাওয়া যেতে পারে। তবে ভার্বাল রিজিওনিং বাদ দিলে বাকি অংশ থেকে পুরো নম্বর পাওয়া সম্ভব। নম্বর ভাল পাওয়ার জন্য, যেহেতু প্রশ্নে বৈচিত্র বেড়ে গিয়েছে, তাই সব রকম অঙ্ক সমাধানের অভ্যাস করতে হবে। মেনস পরীক্ষা দিতে হবে, এই ভাবনা থেকে করলে সব অংশ থেকেই তাঁকে অঙ্ক করে যেতে হবে। পরীক্ষার সময় একটু বেশি মনসংযোগ দিয়ে অঙ্কটা করতে হবে। WBSC ছাড়াও অন্যান্য সমতুল্য পরীক্ষায় যে প্রশ্নের সমাধান করলে, তাহলে প্রশ্নের বৈচিত্র সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
উত্তর লেখার সহজ উপায়: আড়াই ঘণ্টায় ২০০টা প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। সব জানা থাকলে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। বলা যেতে পারে অঙ্ক বাদে বাকি ১৭৫ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে ১ ঘণ্টার মধ্যে। বাকি ২৫টি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য অনেকটাই সময় পাওয়া যায়। অর্থাৎ সময়ের অভাব হয় না। ২০১৭ পর্যন্ত প্রশ্ন বিষয় অনুযায়ী ভাগ করা থাকত। ২০১৮ সাল থেকে বিষয়গুলি মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পরপর একই বিষয়ের প্রশ্ন পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে অঙ্ক বাদ দিয়ে বাকি প্রশ্নের উত্তর আগে লেখা যেতে পারে যেতে পারে। পরে অঙ্ক সমাধানের দিকে নজর দেওয়া যায়। তাতে চাপ মুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন: WBCS Exam Preparation: খুঁটিয়ে পড়ার অভ্যাস, কঠোর অনুশীলনই প্রিলিমসে সাফল্যের চাবিকাঠি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI