Weather Update: ঘণ্টায় সর্বাধিক ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, রয়েছে ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
Kolkata Weather Update: গত রাতে কলকাতায় ১৮৫.৬ মিলিমিটার এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরে মোট ২৫১.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

কলকাতা: পাঁচ ঘণ্টার ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টি। তাতেই জলমগ্ন কলকাতাসহ শহরতলি। রেকর্ড বৃষ্টিতে জল থইথই চারিদিক। তবে পুজোর প্রাক্কালে দুর্ভোগের শেষ কিন্তু এখানেই নয়, আগামী দিই দিনে আরও বৃষ্টি এবং নিম্মচাপের পূর্বাভাস দিয়ে রাখল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Regional Meteorological Centre)।
পুজোর প্রাক্কালে রেকর্ড বৃষ্টি। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কখনও এত পরিমাণ বৃষ্টি নথিবদ্ধ হয়নি। জলমগ্ন শহর থেকে জেলা। ব্যাহত বাস, টেন, মেট্রো পরিষেবা। সাধারণ জনগণের চরম ভোগান্তি। পরবর্তী পাঁচদিন মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে ফের দুর্যোগের আশঙ্কার কথা জানিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর।
কী কারণে রাতভর এই প্রবল বৃষ্টি? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, 'উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ ছিল সেটা ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল, উড়িষ্যা ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আজ সকালে অবস্থান করছিল। এরই প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে এবং রাতে কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ডপলার ওয়েদার রাডার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে রাতে তিন চার ঘণ্টার মধ্য়ে প্রচুর জলীয় বাস্প পূঞ্জীভূত হয়েছিল। তারই ফলে এই বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।'
কোথায় কত পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে? আলিপুরের তরফে জানানো হয়, রাত আড়াইটে থেকে সকাল সাড়ে পাঁচটা অবধি মূলত সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কলকাতায় ১৮৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুরে বিগত ২৪ ঘণ্টায় সেই পরিমাণ মোট ২৫১.৪ মিলিমিটার। এক ঘণ্টায় সর্বাধিক ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টির কথা জানিয়েছে মৌসুম ভবন।
এই রেকর্ড বৃষ্টিতে চারিদিকে জল থইথই অবস্থায় ভোর চারটে থেকে গঙ্গার সব লকগেট খোলা হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টায় আবার লকগেট বন্ধ করা হয়। জলযন্ত্রণায় বেহাল মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের সাহায্যার্থে নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
নবান্নের কন্ট্রোল রুমের নম্বর:-
ফোন নম্বর : ৯১ ৩৩ ২২১৪ ৩৫২৬ এবং ৯১ ৩৩ ২২৫৩ ৫১৮৫
টোল ফ্রি নম্বর : ৯১ ৮৬৯৭৯ ৮১০৭০
পুজোর মুখে এই বৃষ্টিতে রাজ্যে আবারও প্রাণ গেল ১০ জনের। প্রশ্নের মুখে সিইএসসি ও বিদ্যুৎ দফতরের ভূমিকা। কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি CESC কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।






















