Weather Update: দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, আগামী ৪-৫ দিনে নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
Heatwave: আগামী চার থেকে পাঁচদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই দক্ষিণবঙ্গে। উল্টে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে একাধিক জেলায়। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার সঙ্গে লাগামছাড়া আর্দ্রতায় অস্বস্তি বাড়বে কলকাতায়।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেই রাজ্যে তাপপ্রবাহের (Heatwave) পরিস্থিতি! ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দোরগোড়ায় কলকাতা! (Kolkata) আলিপুরে রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। আর কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ব্যারাকপুরে (Barrackpore) তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণবঙ্গের হাঁসফাঁস অবস্থা
গায়ে জ্বালা ধরানো রোদের তেজ, সঙ্গে দরদরিয়ে ঘাম, এটাই এখন দক্ষিণবঙ্গের চেনা ছবি। তাপদাহ থেকে স্বস্তি পেতে একটু বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে দক্ষিণবঙ্গবাসী। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও আশার বাণী শোনাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই হাঁসফাঁস পরিস্থিতি থেকে এখনই যে রেহাই মিলছে না, রবিবার সে কথা জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
তীব্র গরম দক্ষিণবঙ্গে
শুধু কলকাতাই নয়, তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। রবিবার রেকর্ড গরম ছিল বাঁকুড়ায়। এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এররপরেই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুন্ডায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার সূচকই বলে দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গরমের দাপট কতটা!
বর্ধমান (৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস), পুরুলিয়া (৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বীরভূমেও (শ্রীনিকেতনে ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তীব্র দহনজ্বালা পোহাতে হচ্ছে সবাইকে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান, এই ৭ জেলায় তাপপ্রবাহের চোখরাঙানি চলবে। তবে বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গে কবে থেকে বৃষ্টি শুরু হবে, তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, সেটা বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। ফলে আপাতত মানুষের স্বস্তি নেই।