West Bardhaman News: ৩৪ জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ কমিশনারের স্ট্যাম্প 'নকল', লাইসেন্স বের করে আগ্নেয়াস্ত্র 'পাচার' !
West Bardhaman Fraud Case Illegal Firearms Transport :৩৪ জেলার জেলা শাসক, পুলিশ কমিশনারের স্ট্যাম্প নকল, আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার মূল পাণ্ডা-সহ ৪
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ৩৪ জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারের স্ট্যাম্প নকল করে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বের করে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার। গ্রেফতার মূল পাণ্ডা-সহ ৪।
পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তে কোকওভেন থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায় বিহারের বক্সারের বাসিন্দা বিকি যাদব আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা রাকেশ বার্নওয়াল ও কৈলাস সুনহাওয়ান আসানসোল দক্ষিণ থানার বাসিন্দা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের কোকোভিন থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি বলেন,"আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুলটি থেকে বিকি যাদবকে গ্রেফতার করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, তারপরেই বিকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের মূল পান্ডা ধর্মেন্দ্র যাদবকে বিহারের বক্সার থেকে এবং আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে রাকেশ ও কৈলাসকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারের ভুয়ো স্ট্যাম্প। বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স। একটি কান্ট্রি মেড সিঙ্গেল ব্যারেল নামের আগ্নেয়াস্ত্র। শুক্রবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে। এই চক্রের সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছে ? তাঁদের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'ক্রাইম ব্রাঞ্চ' বলে থামানো হল ব্যবসায়ীর গাড়ি, কোটি টাকার ডাকাতিতে গ্রেফতার ২ পুলিশ কর্মী !
প্রসঙ্গত, রাজ্যে শুধু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র পাচার নয়, ভুরভুরি পাচারের সাক্ষী সীমান্ত। কিছু ক্ষেত্রে একাধিক অভিনব পদ্ধতি নিতে দেখা গিয়েছে পাচারকারীদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এর আগে ভিনরাজ্যের মাদক পাচারের জন্য মাছের পেটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিনব পদ্ধতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। শেষ অবধি পর্দাফাঁস করেছে এসটিএফ। সম্প্রতি আমের পেটির ভিতরে মদ পাচার ঘটনা ঘটেছিল। পেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পুলিশের। গোপন সূত্রের খবর, এর মাধ্যমে এক বড়সড় মাদক চোরাচালানকারীর হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। যেখানে আমের (Mango Supply) পেটিতে করে পাচার করা হচ্ছিল মদ। গাজোল থেকে সেই মদগুলি পাচার করা হচ্ছিল বিহারের পথে। গ্রেফতার করা হয়েছিল চারজনকে। যার মধ্যে ছিলেন একজন গাজোলের বাসিন্দা। অন্যদিকে তিনজন বিহারের বাসিন্দা। আটক করা হয়েছিল একটি বোলেরো পিকআপ গাড়ি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।