Kidnapping Case: পানাগড় ব্যবসায়ী অপরহরণকাণ্ডে গ্রেফতার B.Tech ইঞ্জিনিয়ার ও ECL কর্মী ! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য..
West Bardhaman Kidnapping Case: অপহরণকারীদের ১ জন ECL-এ কর্মরত, ১ জন B.Tech ! পানাগড়কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর এল তথ্য, মুক্তিপণের ঘটনার কিনারা করল বুদবুদ থানার পুলিশ

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পানাগড় ব্যবসায়ী অপরহরণকাণ্ডে গ্রেফতার B.Tech ইঞ্জিনিয়ার ও ECL কর্মী ! পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের ঘটনার কিনারা করল বুদবুদ থানার পুলিশ। উদ্ধার লক্ষাধিক টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র। পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় ১৩ দিনের মাথায় অপহরণের সাথে যুক্তদের গ্রেফতার করল বুদবুদ থানার পুলিশ। রবিবার রাত আটটা নাগাদ বুদবুদ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা। এছাড়াও ছিলেন বুদবুদ থানার ওসি মনোজিৎ ধারা,কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল সহ পুলিশ আধিকারিকরা।
ডিসিপি জানিয়েছেন, গত ১৩ তারিখ তারা একটি অপহরণের খবর পান। ঘটনার তদন্তে নেমে তারা জানতে পারেন চলতি মাসের গত ১০ তারিখে পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে কাঁকসার বিরুডিহার বাসিন্দা, জয়ন্ত গড়াই নামের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের ঘটনায় ব্যবসায়কে মুক্তিপণ হিসেবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা রফা হলেও প্রায় ছয় লক্ষ টাকার মত দেওয়ার পর তাকে মারধর করে ছাড়া হয়েছিল।
পুলিশের কাছে ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ জানায় যে, গত জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে তাকে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী অপহরণ করার পর তাকে মারধর করে তার কাছ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নেয়। কারা তাকে অপহরণ করেছিল সেই বিষয়ে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারছিলেন না। বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অবশেষে প্রায় ১৩ দিনে অপহরণের ঘটনার কিনারা করে।
অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ভাবে তদন্ত করে অবশেষে বেশ কিছু সূত্র পাওয়ার পর। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় একটি মোটরসাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়ি। সোমবার ধৃতদের মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ডগুলি, দুটি ম্যাগজিন, একটি ধারালো অস্ত্র, প্রায় ১ লক্ষ ১২হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল। ধৃতরা হলেন অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চট্টোপাধ্যায় এবং বিমলেশ কুমার ঠাকুর। এদের সকলেরই বাড়ি দুর্গাপুর এবং কাঁকসা এলাকায়।
এই ঘটনার সাথে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন ই.সি. এল-এ (ECL) চাকরি করেন। তবে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পাওয়া গেলেও বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখে ঘটনার সত্যতা যাচাই করবেন। অন্যদিকে ধৃতদের মধ্যে একজন বি.টেক পাস করা যুবক রয়েছে। সেই বিষয়টাও তারা খতিয়ে দেখছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
