Mithun On Politics: ওপরে সব ঠিক আছে, সবাই বন্ধু, সৌজন্যের বার্তা মিঠুনের
Mithun Chakraborty Update: "সব দলের নীচের তলার কর্মীরাই মারপিট করেন।'' পাশাপাশি বাংলায় গঙ্গারতির উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) মুখে সৌজন্যের বার্তা। স্পষ্ট জানালেন, রাজনীতিতে সৌজন্য থাকা উচিত। বিজেপি নেতার বক্তব্য, ওপরে ওপরে সব ঠিক আছে, সবাই বন্ধু। সব দলের নীচের তলার কর্মীরাই মারপিট করেন। পাশাপাশি বাংলায় গঙ্গারতির উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা।
মিঠুনের মুখে সৌজন্যের বার্তা: শেষ হয়েছে দেব (Dev) ও মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত 'প্রজাপতি'-র (Projapoti) শ্যুটিং। কলকাতা ও বারাণসী জুড়ে এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে দুটি বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করেন দেব ও মিঠুন। কিন্তু শ্যুটিং ফ্লোরে সবটাই রঙহীন। কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য একসঙ্গে পর্দায় আসছেন দেব ও মিঠুন। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, "আমাদের এত বছরের সম্পর্ক, কোনওদিন রাজনীতি নিয়ে ‘রা’ পর্যন্ত আলোচনা করিনি। রিয়্যালিটি শো, সিনেমা করেছি দুটো, কোনও দিন কোথাও রাজনীতির প্রসঙ্গ আনিনি। কারণ আমরা একে অন্যকে সম্মান করি। রাজনীতিতেও সৌজন্য থাকা উচিত। দেব বারবার বলেছেন সেকথা। ওপরে সব ঠিক আছে, সবাই বন্ধু। সব পার্টির ক্ষেত্রে নিচে সবাই ধুম-ধারাক্কা করে বেড়াচ্ছে।'' বাংলায় গঙ্গারতির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। অভিনেতা বলেন, “বেনারসের গঙ্গারতি সবার দেখা উচিত। কী সুন্দর ছন্দ মিলিয়ে সবাই করছেন। এখানে হলেও খুব ভাল।’’
একইভাবে সৌজন্যের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। এদিন দেব বলেন, “আমার আগের ছবিতেও যিনি আমার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তিনিও বিজেপির সক্রিয় কর্মী। প্রথম দিন থেকেই আমার কাছে খুব পরিষ্কার, সিনেমা এবং রাজনীতি আলাদা। আমার ছবির জন্য ভাল অভিনেতা প্রয়োজন। তিনি রাজনীতিতে যুক্ত কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। যেমন প্রজাপতি-তে মিঠুনদা অভিনয় করেছেন।’’ সৌজন্যের রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত, তারও বার্তা দিলেন অভিনেতা। তৃণমূল সাংসদের কথায়, “২০১৪ সালে প্রার্থী হওয়ার পর সিপিএম প্রার্থীর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছি। এমন কোনও পর্যায় কথা বলি না, যেখানে বিরোধী দল বা প্রার্থীকে ছোট করিনা। নিজেকে বড় করতে গেলে অন্যক ছোট করতে হয় না। জিততে গেলে কুকথা বলতে হবে এমন কোনও মানে নেই। কাউকে ছোট না করে, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে রাজনীতি করা উচিত। কারোর যদি শরীর খারাপ হয়, তাহলে দেখতে যাওয়া যাবে না! ব্যক্তিগত আক্রমণ এমন পর্যায় না নিয়ে যাওয়াই উচিত।’’
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পৌষ মেলার জন্য মাঠ দিতে নারাজ বিশ্বভারতী, হলফনামা পেশের নির্দেশ আদালতের