BJP West Bengal: রাতের অন্ধকারে সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে BJP বিধায়ক, তুমুল বচসা বাঁকুড়ায়
BJP MLA: বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা দেশ জুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় বিজেপির দেওয়া সদস্য সংগ্রহের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি জেলা বিজেপি।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ (Amit Shah) লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। পরের বছর রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোমর বেঁধে ময়দানে নামার লক্ষ্য ধার্য করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ।
অমিত শাহর বেঁধে দেওয়া এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাজ্যে যে পূরণ করা বেশ কঠিন, সেটা বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের একাংশ মেনে নিয়েছেন। আর এর মধ্যেই রাতের অন্ধকারে গ্রামে সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক। বাঁধল তুমুল বাকবিতণ্ডা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিধায়কের বচসা হল। যা নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়। যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি, অশান্তি তৈরি করেছেন যাঁরা, সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।
বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা দেশ জুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় বিজেপির দেওয়া সদস্য সংগ্রহের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি জেলা বিজেপি। ১ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করার জন্য জেলা বিজেপিকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে বিজেপির প্রত্যেকটি নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক ও সাংসদরা।
সেই কারণেই বুধবার রাতের অন্ধকারে ইন্দাস বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ইন্দাস ব্লকের মান্দড়া গ্রামে যান সদস্য সংগ্রহ অভিযান করতে। সেখানেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি বিধায়ক এবং তাঁর কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ব্যাপক বাগযুদ্ধ হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জোড় করে তাঁদের গ্রামের লোককে বিজেপির সদস্য করার চেষ্টা করছিলেন বিধায়ক। কখনও হুমকি কখনও আবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ফোন নাম্বার চেয়ে নিচ্ছিলেন বিধায়ক। পাশাপাশি এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছিলেন বিধায়ক, এমন অভিযোগও রয়েছে। তাই তাঁরা বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং তাঁকে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছেন।
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কের দাবি, এটা কোনও বিক্ষোভ নয়। বরং এটা তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীর কাজ। এলাকায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা যাবে না, এই দাবি তুলে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে তাঁর পাল্টা দাবি। বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মসূচিতে গাত্রদাহ হচ্ছে বলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।
স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সদস্যের দাবি, বিধায়ককে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। রাতের অন্ধকারে চোরের মতো এলাকায় এসে জোরপূর্বক সদস্য সংগ্রহ অভিযান করছিলেন। তাই গ্রামবাসীরা তার প্রতিবাদ করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িয়ে নেই। বিধায়কের কথা ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন: সন্তোষ চ্যাম্পিয়নদের নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের কোন কোন পদে হল চাকরি?