West Bengal DA Increase: আরও ৪ শতাংশ বাড়ল DA, বাজেটে ঘোষণা মমতা সরকারের
West Bengal Budget: বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার বাজেট পেশ করে বিধানসভায়। সেখানেই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা হল।
কলকাতা: শহরের বুকে আন্দোলন চলছে এখনও। তার মধ্যেই ফের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা রাজ্য সরকারের। আরও ৪ শতাংশ হারে বাড়ানো হল। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার বাজেট পেশ করে বিধানসভায়। সেখানেই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা হল। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সমান হারে DA-র দাবিতে এই মুহূর্তে আন্দোলন চলছে শহরে। সেই আবহেই বাজেটে DA বৃদ্ধির ঘোষণা করল রাজ্য। (West Bengal DA Increase)
বৃহস্পতিবার বাজেটে ফের DA বৃদ্ধির ঘোষণার পর, রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত DA-র হার বেড়ে ১৪ শতাংশ হল। কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক কমল আরও কিছুটা। কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক এখনও ৩২ শতাংশ। চলতি বছরের মে মাস থেকে কার্যকর হবে নতুন হারে DA.
এর আগে, ডিসেম্বরেও এক দফা DA বাড়ানো হয় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের। প্রাক-বড়দিন অনুষ্ঠানে গিয়ে সেবারও ৪ শতাংশ DA বাড়ানোর ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে উপকৃত হবেন রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মী। লোকসভা নির্বাচনের আগে ভেবেচিন্তেই DA বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। (West Bengal Budget)
আরও পড়ুন: WB Budget 2024 LIVE: বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় বিজেপি-র প্রতিবাদ, সামাল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
DA বৃদ্ধির দাবিতে লাগাতার কলকাতায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা যে হারে DA পাচ্ছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাঁদেরও DA বাড়াতে হবে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে DA-র দাবি অন্যায় নয় বলে দাবি করছেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি, কেন্দ্র এবং রাজ্যের বেতন পরিকাঠামো সম্পূর্ণ আলাদা। এ রাজ্যে পেনশন কমিশন চালু থাকা সত্ত্বেও, সরকারি কর্মীদের বাড়তি DA দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার এটা নিজের ইচ্ছেয় দেয়। DA দিতে মোটেই বাধ্য নয় রাজ্যের সরকার।
এ প্রসঙ্গে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা হল, দেশের জনসংখ্যা যদি ১৩০ কোটি ধরা হয়, সেই নিরিখে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষই সরকারি চাকরি করেন। কারণ ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, কেন্দ্র-রাজ্য মিলিয়ে সরকারি কর্মীর সংখ্যা ৫ কোটি। তাহলে বাকি ৯৬ শতাংশের অধিকারের কথা কে বলবেন, এই প্রশ্নও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
একই সঙ্গে পেনশন কমিশনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসছে। ২০০৪ সালে পুরনো পেনশন প্রকল্প তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়। একাধিক রাজ্যেও সেই ব্যবস্থা চালু হয়। পুরনো পেনশন প্রকল্প অনুযায়ী, ২০ বছর চাকরি করে অবসর নিলে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যেত। নতুন পেনশন প্রকল্পে মূল বেতনের ১৪ শতাংশ কেটে নিয়ে পেনশন তহবিলে জমা করা হয়। তাতে আরও ১০ শতাংশ দেয় সরকার। সেই টাকা শেয়ার বাজারে ঢেলে যা লাভ হয়, সেই টাকায় পেনশন দেওয়া হয়, যা মূল বেতনের ৫০ শতাংশও হতে পারে, আবার ৫ শতাংশও। অর্থাৎ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পেনশন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, সরকারের দায় থাকে না।
বাংলায় এই নতুন পেনশন প্রকল্প চালু হয়নি আজও। বামেরাও করে যায়নি, মমতাও নতুন পেনশন প্রকল্প চালু করেননি। পুরনো পেনশন প্রকল্পই চলছে বাংলায়। আর তাতেই রাজ্য সরকার অনড় অবস্থান নিচ্ছে। পেনশন এবং DA, দুই দিতে গেলে খরচে কুলোবে না বলে জানানো হচ্ছে। যে কোনও একটি চলতে পারে বলে রাজ্যের তরফে দাবি আসছে, কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা মানতে নারাজ। সেই নিয়ে লাগাতার টানাপোড়েন চলছে।