Mamata Banerjee: ‘রেফার রোগ’ সারাতে ‘রেফার পলিসি’ তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Refer Policy: ‘রেফার রোগ’ সারাতে ‘রেফার পলিসি’ তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে অযথা স্থানান্তর বন্ধ করতে তৈরি করা হবে ‘রেফার পলিসি’।
সুমন ঘরাই, কলকাতা: ‘রেফার রোগ’ (refer) সারাতে ‘রেফার পলিসি’ (refer policy)! রোগীদের হয়রানি (harassment) মেটাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে অযথা স্থানান্তর বন্ধ করতে তৈরি করা হবে ‘রেফার পলিসি’। কোন পরিস্থিতিতে রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ থাকবে ‘রেফার পলিসি’তে। সোমবার স্বাস্থ্য নিয়ে নবান্নর বৈঠকে এই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
'রেফার বন্ধ করুন। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় রেফার করে দিচ্ছে। সেই পেশেন্টের অবস্থা সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। এগুলি বন্ধ হওয়া দরকার', কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই আসে রেফার পলিসির প্রসঙ্গ। বলেন, 'রেফার পলিসি তৈরি হোক। কেন রেফার করা হল, কোন অবস্থায়? সেটা রেফার পলিসির মধ্যে থাকবে।' এতেই শেষ নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অপব্যবহার এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছিল, সেটি নিয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, 'স্বাস্থ্যসাথীর অপব্যবহার নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্যসাথী নিচ্ছে না, নেওয়ার পরও পেশেন্ট পার্টির থেকে টাকা নিচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথীর অজুহাত দেখিয়ে বলছে বেড নেই। প্রচুর উল্টোপাল্টা বিল করছে। প্রাইভেট হাসপাতালে এক পেশেন্ট ভেন্টিলেশনে আছেন, তাঁর টুথব্রাশ, টুথপেস্ট লাগবে কেন? শাস্তির ব্যবস্থা করুন, লাইসেন্স কেড়ে নিন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কোনও লবি কাজ করবে না।'
কড়া নির্দেশ...
এদিন আরও কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন সরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার সময় ডিসচার্জ সার্টিফিকেটের সঙ্গে রোগীকে জানিয়ে দেওয়া হবে, তাঁর চিকিৎসার জন্য কত খরচ হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার রোগীর চিকিৎসায় কত ব্যয় করেছে। উল্লেখ্য, ২০২৩-এ পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৬-এ হবে বিধানসভা নির্বাচন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন নবান্নর তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৩-এর মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ১০ হাজার ১৭৬টি ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ হবে। ২৬-এ সেই সংখ্যাটা বেড়ে হবে ১৬ হাজার ৬১৬-তে। কিন্তু কেমন পরিষেবা মিলবে ‘সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে’? নবান্নর তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রর তুলনায় উন্নতমানের পরিষেবা মিলবে সেখানে। আউটডোরের পাশাপাশি মিলবে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবাও। এদিনের বৈঠকে, ১০ হাজার শূন্যপদে দ্রুত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগেরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য়ের আরও কিছু সমস্যা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। এখানেও যাতে গঙ্গা-আরতির ব্যবস্থা করা যায় সে মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভাকে।
আরও পড়ুন:এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই, ২০ জন চাকরিপ্রার্থী,চাকরি প্রাপককে তলব