Mamata on Buddhadeb Bhattacharjee: আজ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মুখটা খুব মনে পড়ছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Mamata Banerjee On Buddhadeb Bhattacharya Demise: এবিপি আনন্দের সম্পাদক সুমন দে-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: ৩৪ বছরের বাম শাসনের শেষ লগ্নে মুখ্য়মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya Demise)। ২০১১ সালে নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত আঙিনায় ছিলেন দুজন। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবিপি আনন্দের সম্পাদক সুমন দে-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
৮০ বছর বয়সে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তনের মৃত্যুতে শোকাহত বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। এবিপি আনন্দকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, "খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে বুদ্ধবাবুকে হারিয়েছি। উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দুটো টার্ম কাজও করেছেন। যখনই অসুস্থ হয়েছেন তাঁকে দেখতে গিয়েছি এবং বাড়িতেও যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হওয়ায় মাঝে দেখাশোনা প্রায় বন্ধই করে রেখেছিলেন। মৃত্যু তো কাউকে আটকাতে পারে না। তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্যের তরফে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় করা হবে। ওঁরা যদি রবীন্দ্র সদন বা নন্দনে রাখতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানে পূর্ণ দিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।''
২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শপথ অনুষ্ঠানেও এসেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এল সেই স্মৃতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "২০১১ সালে উনি আমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও এসেছিলেন। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় রাজ্যপাল ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। ওঁর বাড়িতে মিটিং দেখেছিলেন। সেখানে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা হয়েছিলেন। গোপালকৃষ্ণ গাঁধী ভরা থাক স্মৃতি সুধায় গানটা জিজ্ঞেস করে বলেছিলেন এর অন্তরাটা বলো। আমি বলে দিয়েছিলাম সেই লাইনটা। এমনকী বাবরি মসজিদের সময়, আমি মহাকরণের সময় গিয়ে দেখা করে বলেছিলাম কোনও কাজে লাগলে জানাবেন। একসঙ্গে মিলে সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়েছিলাম। ওঁর বাড়িতে গিয়ে কথা হতো। মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকতে পারে। রাজনৈতিক সৌজন্য সবার উপরে। অসুস্থ থাকলেও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। চোখ দেখাতে গেলে গ্রিন করিডর করে দিতাম। আমি সবাইকে মনে করিয়ে দেব রাজনৈতিক সৌজন্যতায় যেন মানবিকতার মৃত্যু না হয়। আমার খারাপ লাগছে। মুখটা মনে পড়ছে। ওঁর স্ত্রী খুব ভাল। যত্ন করতেন যখনই যেতাম।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee Died: প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য