Sitabhog and Mihidana : বর্ধমান, বড়লাট থেকে রাজাধিরাজ, বাংলার বহমান খাদ্য নস্টালজিয়া, মিহিদানা-সীতাভোগ
Bengali Popular Sweets : বড়লাটের আসার কথা ভেবে ভৈরবচন্দ্র নাগ যে সুক্ষ্ম রূপ পরিবর্তন করেছিলেন মিষ্টিদুটোর, সেটাই এখনও পর্যন্ত বহুল প্রচলিত।
![Sitabhog and Mihidana : বর্ধমান, বড়লাট থেকে রাজাধিরাজ, বাংলার বহমান খাদ্য নস্টালজিয়া, মিহিদানা-সীতাভোগ West Bengal Food Nostalgia know the story of Sitabhog Mihidana preparation history details Sitabhog and Mihidana : বর্ধমান, বড়লাট থেকে রাজাধিরাজ, বাংলার বহমান খাদ্য নস্টালজিয়া, মিহিদানা-সীতাভোগ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/09/07/5bdbeca3a8ca709caeb81b53f1b2c3e7169410897357052_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বর্ধমান : রাজাধিরাজ উপাধিতে ভূষিত হবেন রাজা। সাজ সাজ রব চারিদিকে। উপাধিতে ভূষিত করতে আসবেন খোদ বড়লাট। সেই উপলক্ষ্যে এলাহি আয়োজন। কিন্তু শুধু তো খাওয়া-দাওয়া নয়, বড়লাট যাতে সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরে যান, সেজন্য ডাক পড়ল এলাকার নামজাদা মিষ্টি প্রস্তুতকারকের। বর্ধমানের মাহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবের সেই ডাকেই ভৈরবচন্দ্র নাগের মাথা থেকে বেরিয়েছিলেন যে বিশেষ মিষ্টি, সেটাই এখনও দেশে-বিদেশে বাংলার সুনাম বাড়িয়ে চলেছে। মিষ্টির জগতে বিশেষ তারিফ, সম্মান থেকে জিআই ট্যাগ, বাংলার মিষ্টি-ঝুলিতে অন্যতম সেরা উপাদান মিহিদানা-সীতাভোগ (Mihidana And Sitabhog)।
ইতিহাস ছুঁয়ে দেখার পাশাপাশি ঠিক কীভাবে মিহিদানা-সীতাভোগ বানানো হয়, তারই এক ঝলক রইল এই প্রতিবেদনে। বলা ভাল বাংলার মিষ্টি নস্টালজিয়ার সঙ্গে বর্তমানের সুমধুর মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। সালটা ১৯০৪। কথিত আছে, বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবকে রাজাধিরাজ উপাধি দেওয়ার জন্য বর্ধমান রাজপ্রাসাদে গিয়েছিলেন ইংরেজ বড়লাট লর্ড কার্জন। তাঁর আতিতেয়থার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল সীতাভোগ-মিহিদানা। রাজাদের খাস মিষ্টি প্রস্তুতকারক তথা ভৈরবচন্দ্র নাগের দাদু শ্রীনাথ নাগ প্রথম তৈরি করেছিলেন সীতাভোগ-মিহিদানা। কিন্তু তার ধরন ছিল অনেকটা পান্তুয়া-বোঁদের মতো। বড়লাটের আসার কথা ভেবে ভৈরবচন্দ্র নাগ যে সুক্ষ্ম রূপ পরিবর্তন করেছিলেন মিষ্টিদুটোর, সেটাই এখনও পর্যন্ত বহুল প্রচলিত। (bengali sweets)
কীভাবে তৈরি হয় মিহিদানা- সীতাভোগ ?
মিহিদানার প্রধান উপাদান চাল। গোবিন্দভোগ, কামিনীভোগ বা বাসমতী চালকে গুঁড়ো করে তার সঙ্গে বেসন, জাফরান ভাল করে মেশানো হয়। জল মিশিয়ে ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্রে রেখে ফুটন্ত ঘিতে ফেলা হয় মিশ্রণটি। ভেজে নিয়ে চিনির রসে রেখে তৈরি করা হয় মিহিদানা।
সীতাভোগের ক্ষেত্রে প্রধান উপাদান গোবিন্দভোগ চাল। চাল গুঁড়ো করে চারভাগের একভাগ ছানা মিশিয়ে তারপর পরিমাণমতো দুধে মাখা হয়ে থাকে। ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্রে চিনির রসে রাখার পর তাতে মেশানো হয় কাজুবাদাম, কিশমিশ।
মিহি-র ন্যায় দানার জেরে যেমন একদিকে নাম মিহিদানা, উল্টোদিকে সীতাভোগ নামটি কেন, তা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। একদলের মতে, সীতা অর্থাৎ সাদা, অন্য দলের কথায় এক্ষেত্রে সীতা মিছরি অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নাম সে যেভাবেই হোক, স্বাদে-সম্মানে সীতাভোগ-মিহিদানা বাংলার বহমান খাদ্য নস্টালজিয়া।
আরও পড়ুন- ডায়েটে থাকে কেশর, ওজন নিয়ন্ত্রণে করিনা ভরসা রাখেন বাড়ির খাবার আর যোগাভ্যাসে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)