CV Ananda Bose: বিধানসভায় বিজেপি-র রোষে পড়েছিলেন, তার পরই বইমেলায় মোদিপ্রশস্তি রাজ্যপালের
Kolkata Book Fair:রাজ্যে বাজেট অধিবেশনে ভাষণ নিয়ে বিজেপি-র আক্রমণের মুখে পড়ার পর, বৃহস্পতিবার কলকাতা বইমেলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস।

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য এসেছেন। পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের নজিরও রয়েছে। তার পরও এ যাবৎ বাংলার তৃণমূল সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কই বজায় রেখে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কখনও বাংলার সংসকৃতি, কখনও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তার জন্য বিধানসভায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি-র (BJP) সদস্য়দেরই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সেই আবহে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যপালের মুখে (CV Ananda Bose)।
রাজ্যে বাজেট অধিবেশনে ভাষণ নিয়ে বিজেপি-র আক্রমণের মুখে পড়ার পর, বৃহস্পতিবার কলকাতা বইমেলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে মোদিপ্রশস্তি ঝরে পড়ে তাঁর কথায়। বলেন, "প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে গোটা দেশ। ওঁর বই যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুব্ধ করে।" বিধানসভায় বিজেপি-র ক্ষোভের মুখে পড়ার পরই রাজ্যপালের এই মোদিপ্রশস্তি নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিচ্ছেন রাজ্য রাজনীতির অনেকে। তিনি ভারসাম্য রাখতে চাইছেন বলে মত অনেকেরই।
গত বছরের শেষ দিকে বাংলার দায়িত্ব পান, প্রাক্তন আমলা রাজ্যপাল বোস। তার আগে বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন ধনকড়। প্রায় নিত্যদিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর কলহ, সংঘাতে লেগেই থাকত। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হয়ে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ তোলে রাজ্য। এমনকি তাঁকে সরাতে কেন্দ্রকে চিঠিও দেন মমতা। এর পর উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত হলে, বিজেপি-র প্রার্থী ধনকড়কে সমর্থন জানায় তৃণমূল। তাঁকে রাজ্য থেকে সরাতেই তৃণমূল এমন সিদ্ধান্ত নেয় বলে মত অনেকের।
এর পর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়ে রাজ্যে আসেনম লা গণেশন। তার পর স্থায়ী ভাবে বোসকে বাংলার রাজ্যপাল নিযুক্ত করে কেন্দ্র। কিন্তু শুরুতেই বাংলার প্রতি অনুরাগের জানান দেন তিনি। কর্মজীবনের শুরু যে কলকাতা থেকেই হয়েছিল, জানান। মুখস্ত বলে শোনান রবীন্দ্রনাথের লেখা কবিতাও। বাংলা শেখার প্রতি নিজের আগ্রহের কথাও জানান।
এর পর যত সময় গিয়েছে, নবান্নের সঙ্গে তাঁর সুম্পর্কই ধরা পড়েছে। কখনও মমতা রসগোল্লার হাঁড়ি পাঠিয়েছেন, বংলা শিখতে আগ্রহী রাজ্যপালের জন্য সরস্বতী পুজোয় প্রতীকী হাতেখড়ির ব্যবস্থা হয়েছে, কখনও আবার প্রকাশ্যে মমতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড়ের আমলে যেমন প্রায়শই রাজভবনে দেখা যেন বঙ্গ বিজেপি নেতাদের, সেই ছবি এখন অতীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে কয়েক বার বিজেপি নেতৃত্ব গিয়ে অভাব-অভিযোগ জানালেও, ধনকড়ের মতো সেই নিয়ে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি বর্তমান রাজ্যপালকে। সেই আবহেই বিধানসভায় রাজ্যের দেওয়া ভাষণ পড়ে শোনাতে গেলে রাজ্যপালের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতারা। তার পরই রাজ্যপালের মুখে মোদির প্রশংসা কাকতালীয় ন. বলে মনে করছেন অনেকেই।






















