West Bengal Board of Primary Education : 'চাইলে শিক্ষকরা যেতে পারেন স্কুলে', জোড়া মামলার নিষ্পত্তির আগেই চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার পর্ষদের
Calcutta High Court : সুপ্রিম কোর্টের কলকাতা হাইকোর্টে ফেরৎ পাঠানো চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা ও সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের বেতন শুরুর মামলা চলছে।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে চলতে থাকা জোড়া মামলার নিষ্পত্তির আগেই চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের কাজ ফেরাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 'চাইলে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষক স্কুলে যেতে পারেন’, আগের চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে জেলা বিদ্যালয় সংসদকে নতুন নির্দেশ প্রাথমিক পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education)।
বাতিল, স্থগিতাদেশ
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high Court) নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৯ জন শিক্ষকের। গত ১৩ জুন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন। পরে যে রায় বহাল রেখেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। যার পরই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো শিক্ষকরা। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) গত ১৮ অক্টোবর চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। যার পরই চাকরি ফেরাল পর্ষদ। প্রসঙ্গত, মাঝে একজন শিক্ষক আলাদাভাবে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁর চাকরি ফিরেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতেই।
পুর্ননিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব
সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি ফেরানো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি, বরং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের মামলার অঙ্গ করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যে প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের সমস্ত তথ্য চেয়ে তাঁদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অপরদিকে, বেতন চালু ও স্কুলে যেতে দেওয়ার ছাড়পত্র চেয়ে চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা আরেকটি মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। যে দুই মামলা এখনও চলছে।
জোড়া যে মামলার নিষ্পত্তির আগেই চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে স্কুলে আসার পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে অবশ্য তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ‘যদিও চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট’ বিজ্ঞপ্তিতে জানানোর পাশাপাশি প্রাথমিক পর্ষদ জানিয়েছে, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই চাকরি ফেরানোর সিদ্ধান্ত।
রাজ্য সরকারকে নিশানা
চাকরি ফেরান নিয়ে আইনজীবীদের একপক্ষ যেমন জানাচ্ছে, মামলার নিষ্পত্তির আগে এভাবে কাজ ফেরানো নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের পর মামলা কোন পথে এগোয়, সেটা পর্ষদ দেখে নিতে পারত বলেই মত তাঁদের। আইনজীবীদের অন্য একটি অংশ অবশ্য মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ মানেই আখেরে চাকরিতে পুর্ননিয়োগের সিদ্ধান্ত।
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের আক্রমণ, 'চূড়ান্ত অনৈতিক ও দুর্নীতিকে মদত দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত। হলফনামা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের আগেই রাজ্য সরকারের চাকরি ফেরানো প্রমাণ করে দেয় এদের টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাই সেই চাকরি বহাল রাখতে রাজ্য সরকার সব রকম পদক্ষেপে প্রস্তুত। '