Kaustav Bagchi : সরকারি কর্মীদের ডিএ-ধর্নামঞ্চে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, ধর্মঘট সমর্থনের বার্তা
DA Protest of Government Employees : কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী জানান, ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাকে রাজ্য সরকারী কর্মীদের পাশে থাকবে রাজ্য যুব কংগ্রেস। সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে।
কলকাতা : সরকারি কর্মীদের ডিএ-ধর্নামঞ্চে বিজেপি (BJP) নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ, পাশের মঞ্চে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী-সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তাঁরা। যার পরে বক্তব্য রাখার মাঝে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi) জানান, ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাকে রাজ্য সরকারী কর্মীদের (West Bengal Government Employees) পাশে থাকবে রাজ্য যুব কংগ্রেস (Congress)। সবরকমভাবে সাহায্য করা হবে।
এদিকে, বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে ধর্নামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক অনশনকারী। আন্দোলনকারী চিন্ময় জানাকে নিয়ে যাওয়া হল সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে। শহিদ মিনারে (Shahid Minar) আজ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অবস্থান ৪০ দিনে পড়ল। অনশন-আন্দোলনের ২৬ দিন। এর আগে ধর্নামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনিও সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, DA-আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে আগামী ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর মাঝেই গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন, পছন্দ না হলে মুন্ডু কেটে নিতে পারেন, তবে এর বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়েও চড়েছিল রাজনৈতিক পারদ।
এবার নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। কৌস্তভের দাবি, তাঁর ওপর হামলা হতে পারে বলে এক তৃণমূল কর্মী জানান। এরপর গতকাল রাতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে ই-মেল করে নিরাপত্তা চান কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার দাবি, রাতে তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়ির সামনে ঘুরে যায় পুলিশ। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান উত্তম দাসের দাবি, গোটাটাই নাটক। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চাইলে পেয়ে যাবেন কৌস্তভ। এর মাঝেই কৌস্তভ বাগচীকে বার্তা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ব্যক্তি-আক্রমণ নয়। লড়াই হবে রাজনৈতিক। দলীয় নেতা কৌস্তভ বাগচীকে বার্তা অধীর চৌধুরীর। ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করায় ফের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অধীর চৌধুরীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কৌস্তভ বাগচী। যারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও জামিন পেয়ে মাথা মুড়িয়ে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী শপথ নিয়েছেন, যতদিন না মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন, ততদিন মাথায় চুল রাখবেন না তিনি। এর মাঝেই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি একজোট করছে বাম-কংগ্রেসকে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা। আর এরপরই ঘাসফুল শিবির থেকে এ নিয়ে এসেছে কটাক্ষ।