Ashwini Vaishnaw: 'দুর্ঘটনার কারণ জানতেই এসেছি, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি', ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানালেন রেলমন্ত্রী
Train Accident: দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। কুয়াশার মধ্যেই রেল লাইন থেকে ইঞ্জিন ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ( Railway Minister Ashwini Vaishnaw)। আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।
এদিন দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, "খুবই দুঃখজনক ঘটনা। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আমি নিজে এখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির উপর নজর রাখছেন।আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ রয়েছে। আমি এখানে এসেছি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ জানার জন্য।"
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের উচ্চ পদস্ত আধিকারিকরাও। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল কি না, রেললাইনে কোনও সমস্যা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান হয়। প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় বেঁকে গেছে রেললাইনের একাংশ। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যন্ত্রাংশ। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলিতে চেপে রেল লাইনের অবস্থা খতিয়ে দেখেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন দুর্ঘটনায় পড়ল বিকানের এক্সপ্রেস? কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার নেপথ্যে গাফিলতি না, নাশকতা? খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। রাত তিনটে নাগাদ বিকানের এক্সপ্রেসের S10 কামরা থেকে এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ, এখন লাইন পরিষ্কারের কাজ চলছে। কুয়াশার মধ্যেই রেল লাইন থেকে ইঞ্জিন ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। এখনও পর্যন্ত ৪০টির বেশি বাসে করে একশোর উপর ট্রেনযাত্রীকে কোচবিহার ও ধূপগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই ট্রেন যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন।