Barrackpore: ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে চলন্ত গাড়ি থেকে চলল গুলি!
West Bengal: নিউ ব্যারাকপুর : পঞ্চায়েত সদস্যাকে লক্ষ্য করে 'গুলি'।ব্যারাকপুর : চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি। ব্যারাকপুর থেকে নিউ ব্যারাকপুর! একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার দুই প্রান্তে প্রকাশ্যে চলল গুলি!!

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে চলন্ত গাড়ি থেকে চলল গুলি! গ্রেফতার আইনের ছাত্র মহম্মদ আরমান আনসারি সহ তাঁর ২ সঙ্গী। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার করা হয়েছে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি। অন্যদিকে, এই নিয়েই শুরু হয়েছে তৃণমূল, বিজেপি আকচাআকচি। ধৃত ৩ জনকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্য়ারাকপুর মহকুমা আদালত।
নিউ ব্যারাকপুর : পঞ্চায়েত সদস্যাকে লক্ষ্য করে 'গুলি'।ব্যারাকপুর : চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি। ব্যারাকপুর থেকে নিউ ব্যারাকপুর! একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার দুই প্রান্তে প্রকাশ্যে চলল গুলি!!
নিউ ব্যারাকপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। আর ব্যারাকপুরে চলন্ত গাড়ি থেকে চলল গুলি! তাও আবার ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের দফতর থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে। যেখানে গুলি চলেছে বলে অভিযোগ, সেখান থেকে একটু দূরেই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর হেড কোয়ার্টার।
তিন যুবক মত্ত অবস্থায় টিটাগড়ের দিক থেকে ব্যারাকপুরের দিকে যাচ্ছিল। এখানেই গাড়ি থামিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। এরপর চলে যায় চিড়িয়া মোড়ের দিকে। ফের ফিরে যায় এদিকে। এখান থেকে কাছে কমিশনারের দফতর, পুলিশ আবাসন। এখান থেকে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে।
ব্যারাকপুরে BT রোডের ধারে লাটবাগান। এখানেই রয়েছে পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমি। কাছেই পুলিশ কমিশনারের অফিস। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে এরকম জায়গায় চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালান আইনের ছাত্র মহম্মদ আরমান আনসারি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সঙ্গী মহম্মদ শাহবাজ আনসারি ও বিশ্বজিৎ তিওয়ারি। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজনই খড়দার বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজনের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।
ধৃতরা তৃণমূলের লোক বলে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। অর্জুন সিংহ, বলেছেন, ‘রাজ্যে অস্ত্র নিয়ে কোনও চিন্তা সরকারে আছে। অপরাধীরা বহাল তবিয়তে পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে থাকে। লাটবাগানে পুলিশে আর্মারি থেকে সব মাল বেরোয়। পার্থ ভৌমিক স্লোগান দিয়েছিল ব্যারাকপুরকে গুন্ডামুক্ত করব। তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন ছিল এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের শাসন আছে। গুন্ডামুক্ত হল? যারা ধরা পড়েছে সব তৃণমূলের লোক।
ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেছেন, ‘এখন গুলি চালালে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। অর্জুনের সময় নিত না। এক্ষেত্রেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।‘ তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শোনা গেছে দুই সুর। তৃণমূল পরিচালিত ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান যেখানে বলছেন, ধৃতরা জেল থেকে বেরিয়েছে, সেখানে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক ধৃতদের অপরাধ-যোগ মানতে নারাজ।
ব্যারাকপুর পুরসভার তৃণমূল নেতা ও চেয়ারম্যান, বলেছেন, ‘তিনটে ছেলে ছিল। ওরা জেল থেকে বেরিয়েছিল। বোধ হয় মেশিন কিনেছে। ওরা লাটবাগানের দিকে হয়তো টেস্টিং করছিল বোধ হয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এরা জেল থেকে বেরোনোর পর স্বাধীনতা পেয়ে যায়। পুলিশ প্রশাসনকে দেখতে বলব। ’
পার্থ ভৌমিক বলেছেন, যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের কোনও ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তারা সাধারণ ছেলে।
কিন্তু, একেবারে পুলিশ কমিশনারের দফতরের কাছে এভাবে গুলি চালানোর সাহস ধৃতরা পেল কোথা থেকে? তাদের আগ্নেয়াস্ত্রই বা দিল কে?






















