Weather Today: আজ বিকেল হতেই ফের ঝড়-বৃষ্টি? কোন কোন জেলার জন্য সতর্কবার্তা?
Weather Updates: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: চৈত্রে অঝোর বৃষ্টি ঝরানো নিম্নচাপ অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গ থেকে অনেকটা উত্তরের দিকে সরে গেল। ফলে দক্ষিণবঙ্গে আর টানা বৃষ্টির আশঙ্কা সেভাবে নেই। তবে খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভবনা রয়েছে কিছু জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়।
মাঝ চৈত্রেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। তবে মার্চের শেষে কলকাতায় পারদ উঠতে পারে ৩৬ ডিগ্রিতে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এর মধ্যেই কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হবে।
সকালে পরিষ্কার এবং বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলা আকাশ। আজ বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলা আকাশ। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাবে। ফলে এই মুহুর্তের স্বস্তি মঙ্গলবারের মধ্যে সম্পূর্ণ গায়েব হতে চলেছে। রাতের তাপমাত্রা ২০ থেকে বেড়ে ২১.৮ ডিগ্রি। গতকাল দিনের তাপমাত্রা ২৬.৩ থেকে বেড়ে ২৮.৮ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৯ থেকে ৯৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন, 'তিহাড়ে বসেই খেলা হবে', শতাব্দীর দেওয়াল লিখনেও অনুব্রত আবেগ
অন্যদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। হালকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে উপরের দিকের জেলাগুলিতে। কোচবিহার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে আজ শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে ঝাড়খন্ড থেকে মনিপুর পর্যন্ত। যা দক্ষিণ থেকে সরে আপাতত উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে আজ শনিবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ঘূর্নাবর্ত রয়েছে ঝাড়খন্ড এবং বিদর্ভতে।