Durgapur : অধ্যাপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ! আশঙ্কায় পরিবার
গত ১৭ তারিখ রাত সাড়ে ৯টায় যখন প্রদীপবাবু ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলেন তখন তিনি বেশ কয়েকজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের ফোন পান। যাঁরা কত টাকা দরকার, এই বলে ফোন করেন অধ্যাপককে...
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর(পশ্চিম বর্ধমান) : দুর্গাপুরের এক অধ্যাপকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে অধ্যাপকের পরিবার।
দুর্গাপুরের ডক্টর প্রদীপ কুমার দাস। কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান। অধ্যাপক দাস পড়েছেন এক বিড়ম্বনায়। গত ১৭ তারিখ রাত সাড়ে ৯টায় যখন প্রদীপবাবু ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলেন তখন তিনি বেশ কয়েকজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের ফোন পান। যাঁরা কত টাকা দরকার, এই বলে ফোন করেন অধ্যাপককে। প্রথমটা কিছুটা ভয় পেয়ে যান অধ্যাপক। পড়ে সব কিছু দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। ফেসবুক ফ্রেন্ড মারফত প্রদীপবাবু জানতে পারেন, ম্যাসেঞ্জার মারফত তিনি তাঁর বন্ধুদের কাছে বিপদে পড়ে গেছি বলে টাকা চাইছেন। কারও কাছে ৫০০০ টাকা চাওয়া হয়েছে, কারও কাছে ১২০০০, আবার কারও কাছে টাকার অঙ্কটা আরও বেশি। এই করতে করতে যখন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো ফেসবুক ফ্রেন্ড অধ্যাপক ডক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কাছে সাহায্যের কথা জানিয়ে ফোন করেন তখন তিনি আশ্রয় নেন স্থানীয় কাঁকসা থানার।
কাঁকসা থানার পুলিশের অনুরোধ মাফিক দুর্গাপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস। তিনি অধ্যাপক। সম্মানের সাথে অধ্যাপনা করেন। প্রতারকদের এমন কুকর্মে তাঁর সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। পুলিশের কাছে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
কাঁকসার গোপালপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার এই অধ্যাপকের পরিবার এখন ভয় পাচ্ছে। আজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে, অপরাধীরা কাল তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কোনও তথ্য নিয়ে যে কোনও কুকর্ম করতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ফোনও হ্যাক হয়নি তার নিশ্চয়তা কোথায়, এই প্রশ্ন তুলছে আতঙ্কিত অধ্যাপকের পরিবার।
এদিকে ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ফোন নম্বর দিয়ে এই প্রতারণা ফেঁদেছে অপরাধীরা।