শারদ-প্রস্তুতিতে কাঁটা বৃষ্টি-অসুর! প্রতিমা নির্মাণে বিস্তর ক্ষতি, দিশেহারা শিল্পীরা
নুন জ্বালিয়ে চলছে প্রতিমা শুকোনোর কাজ। চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারাও।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: টানা বৃষ্টিতে প্রতিমা নির্মাণে বিস্তর ক্ষতি। সময়ে কীভাবে কাজ শেষ করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না দুর্গাপুরের প্রতিমা শিল্পীরা। উনুন জ্বালিয়ে চলছে প্রতিমা শুকোনোর কাজ। চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারাও।
মেরেকেটে হাতে আর ১টা মাত্র সপ্তাহ। তারপরই শারদ উৎসবের আনন্দে ভাসবে রাজ্যবাসী। মণ্ডপসজ্জা থেকে আলোকসজ্জা... প্রতিমা নির্মাণ! সবেরই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু, পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কাঁটা বৃষ্টিরূপী অসুর।
কোথাও প্রতিমা শুকোয়নি। কোথাও আবার রঙের কাজ বিস্তর বাকি। অর্ডার নেওয়া হয়ে গেছে। সময়ে যদি কাজ শেষ করে ওঠা না যায়, দিশেহারা অবস্থা প্রতিমাশিল্পীদের। যে সময় প্রতিবার নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। সে সময় এবার বৃষ্টিতে তিন তিনটে দিন বন্ধ রাখতে হয়েছে কাজ। ত্রিপল জড়িয়েও বৃষ্টির হাত থেকে পুরোপুরি রক্ষা করা যায়নি প্রতিমাকে। এখন ভরসা বলতে ব্লু ল্যাম্প ও ইলেকট্রিক ফ্যান। এমনকি উনুন জ্বালিয়েও চলছে প্রতিমা শুকোনোর কাজ।
দুর্গাপুরের প্রতিমা শিল্পী তাপস হাজরা জানিয়েছেন, উনুন জ্বালিয়ে শুকোতে হচ্ছে, খুব সমস্যা , তিনদিন কাজ বন্ধ। আরেক প্রতিমা শিল্পীর কথায়, কীভাবে কাজ শেষ করব বুঝতে পারছি না, থার্মোকল, বাঁশ কাজ বা অন্যান্য সুক্ষ কুচি র কাজ বৃষ্টি তে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। আগামী কয়েকদিন যেন এত পরিমাণ বৃষ্টি যেন না হয়।
দুর্গাপুরের এই গোলা থেকে আসানসোল, রানিগঞ্জ, অণ্ডালে প্রতিমা পাঠানো হয়। প্রতিমা তৈরির কাজ বাকি থাকায়, উদ্বেগে পুজো উদ্যোক্তারাও। পুজো উদ্যোক্তা সৈকত হাজরা জানিয়েছেন, মণ্ডপের কাজ চলছে, চতুর্থীর দিন উদ্বোধন, বৃষ্টির জন্য সমস্যা। করোনা আবহে গত বছর সেভাবে লাভের মুখ দেখেননি প্রতিমা শিল্পীরা। এবছর কিছু বরাত এলেও, সে আশাতেও জল!